কুর্দি যোদ্ধাদের ঘাঁটিতে ইরানের হামলা
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২মাহসা আমিনি হত্যার প্রতিবাদে এখনো বিক্ষোভ চলছে ইরানে৷ বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিক্ষোভ৷ ইরানে প্রতিদিন বাড়ছে গ্রেপ্তার হওয়া বিক্ষোভকারীর সংখ্যা৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় আহত, নিহতও হচ্ছেন অনেকে৷ নরওয়েভিত্তিক ইরানি মানবাধিকার সংস্থা আইএইচআর-এর তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৭০ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন৷
এদিকে মাহসা আমিনি হত্যা ও হত্যার প্রতিবাদকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে অনেক দেশ৷ সোমবার বার্লিনে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা জানায় জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, মাহসা আমিনি হত্যা এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার যতটা কঠোর নিন্দা জানানো সম্ভব, ততটাই নিন্দা জানাচ্ছে তারা৷
তবে ইরান সরকার মনে করে, বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভ দমন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেলি ইরানে অহিংস বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানান৷ পরের দিনই তার জবাবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং দাঙ্গাবাজদের সমর্থন করছে৷
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও একই বক্তব্য ইরানের৷ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও বিবৃতি দিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন নিন্দার জবাব দেয়ায় ব্যস্ত, তখন ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ব্যস্ত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস করায়৷ ইরান সরকার মাহসা আমিনি হত্যার প্রতিবাদ শুরুর পর থেকেই বলছে, বিক্ষোভে শুধু সমর্থনই নয়, বিক্ষোভকারীদের অস্ত্রও দিচ্ছে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷
তাই শনিবার প্রতিবেশী দেশ ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি কুর্দি ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালায় রেভোল্যুশনারি গার্ড৷ সোমবার আবার মুহূর্মুহু হামলা চালায় তারা৷ হামলার পর এর পেছনে যুক্তিও দেখিয়েছে ইরান৷
তাসনিম নিউজের খবর অনুযায়ী, রেভোল্যুশনারি গার্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কুর্দি ঘাঁটিতে হামলা আসলে কুর্দিরা যা করছে তার ‘উপযুক্ত জবাব'৷
এসিবি/ কেএম (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)