1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিগ বেনের চেয়েও বড় ঘড়ি সৌদিতে

১১ আগস্ট ২০১০

বিশালাকায় একটি ঘড়ি বানিয়েছে সৌদি আরব, যেটি আকারে ছাড়িয়ে যাচ্ছে লন্ডনের বিগ বেনকেও৷ এই রমজানেই ঘড়িটির কাঁটা ঘুরতে শুরু করবে বলে সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/Oap4
ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছে কার্বন ফাইবার দিয়েছবি: picture alliance/dpa

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ সোমবার জানিয়েছে, বিগ বেনের মতোই চারদিকে মুখ থাকবে এই ঘড়ির৷ মক্কায় ৬০০ মিটার টাওয়ারের উপর দিকের অংশে এটি স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে৷ এই টাওয়ার বিগ বেনের চেয়ে ছয়গুণ উঁচু৷ ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছে কার্বন ফাইবার দিয়ে৷ আর এই ঘড়ি আর টাওয়ারের নকশা করছেন জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের স্থপতিরা৷ নির্মাণের কাজটি করছে সৌদি আরবের বিন লাদেন কন্সট্রাকশান গ্রুপ৷

মক্কার ঘড়িটির চার মুখের দুটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৪৩ মিটার করে, আর অন্য দুটির দৈর্ঘ্য একই থাকলেও প্রস্থ কিছুটা কম৷ রাতের বেলা ঘড়িটি জ্বলবে সবুজ আলোয়৷ আর ঘড়ির ওপরে আল্লাহ'র নাম থাকছে৷

Flash-Galerie Islam Mekka Abraj Al-Bait Makkah Clock Royal Tower
বিগ বেনের চেয়ে ছয়গুণ উঁচু এই ঘড়িছবি: AP

এই টাওয়ারের নাম ঠিক হয়েছে ‘বুর্জ সাত মক্কা আল মালকি'৷ সুউচ্চ ওই টাওয়ারে ওঠার সুযোগও থাকছে পর্যটকদের জন্য৷ ব্যালকনি থাকছে ঘড়ির ঠিক নিচেই৷ যেখান থেকে দেখা যাবে পুরো মক্কা শহর৷ আর সেখানে ওঠার জন্য থাকছে লিফট৷

শুধু ঘড়ির জন্যই নয়, আরো বিশেষত্ব রয়েছে এই টাওয়ারটির৷ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চতার টাওয়ারের স্বীকৃতি পেতে চলছে এটি৷ এটি ৬০১ মিটার উঁচু৷ এর চেয়ে উঁচু টাওয়ার এখন শুধু আছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা৷ যার উচ্চতা ৮২৮ মিটার৷

এই ঘড়ি সম্বলিত টাওয়ারটি আবরাজ আল বাইত হোটেল কমপ্লেক্সের অংশ৷ কমপ্লেক্সে মোট ছয়টি টাওয়ার রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে উঁচু হলো ‘বুর্জ সাত মক্কা আল মালকি'৷ মক্কা শরিফকে পবিত্র নগরী গণ্য করে বিশ্বের মুসলমানরা৷ তাই ঘড়িটি এই নগরীতে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়৷

লন্ডনের বিগ বেন চালু হয়েছিলো ১৮৫৯ সালে৷ ১৫০ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ির স্বীকৃতি নিয়ে ছিলো এটি৷ এখন মক্কার ঘড়িটিকে শীর্ষ আসন ছেড়ে দিতে হচ্ছে বিগ বেনকে৷

মক্কাবাসী এই ঘড়ি নিয়ে বেশ খুশি৷ তারা একইসঙ্গে ভাবছে, সময় আসছে যখন গ্রিনিচ মান সময় নয়, মক্কার এই ঘড়ি দেখেই সময় ঠিক করবে মুসলিম বিশ্ব৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক