‘‘বিচার বিভাগেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে’’
৮ মার্চ ২০১২ডিডাব্লিউ'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, ‘‘আইনজীবীরা এখন পুরোপুরি দুই শিবিরে বিভক্ত৷ তাদের সব কিছুতে এখন রাজনীতি ঢুকে পড়েছে৷ এমনকি হাইকোর্ট সহ বিচার বিভাগেও এখন রাজনীতির প্রবেশ ঘটেছে৷ আর সেটা এখন আমাদের স্বীকার করতেই হবে৷''
ঢাকায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও তাঁর স্ত্রী মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের পর, পত্রিকায় মনগড়া কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ না করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ৷ সেই আদেশের ব্যাপারে ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, ‘‘এই ধরণের আদেশ মোটেই কাম্য নয়৷ বিশেষ করে যে বিচারপতি এই আদেশ দিয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে আমি এটা একেবারেই আশা করিনি৷ আমার মনে হয়, আদালতের আদেশ আর এই ব্যাপারে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের মধ্যে ফারাক আছে৷ তবে সত্যিই বিচারপতি যদি প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকেন তাহলে সেটি স্বাধীন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যাবে৷''
সীমান্তে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশিদের হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকাতে খুশি নন ব্যারিস্টার রফিকুল হক৷ তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কিন্তু বেশ জোরালো ভূমিকা রাখছে৷ কিন্তু আমরা তেমন কিছু করতে পারছি না৷ আমাদের সরকার হাই কমিশনারকে ডেকে প্রতিবাদ জানাতে পারতো৷ কিন্তু তেমন কিছু এখনও দেখিনি৷ এছাড়া আমাদের মানবাধিকার কমিশন রয়েছে, তারাও এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারতো৷ কিন্তু সেটাও দেখিনি৷'' তাই উভয় পক্ষকে বসেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে, বলেন আইনজীবী হক৷
নিজে রাজনীতি না করলেও, দিন কয়েক আগে ‘নাগরিক ফোরাম' নামে নতুন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন শুরু করেছিলেন ব্যারিস্টার হক৷ তবে সেই ফোরামের এক নেতা মেয়র নির্বাচনে দাড়ানোর ঘোষণা দিলে শুরুতেই সেই উদ্যোগ থমকে দাঁড়ায়৷ সেই উদ্যোগ সফল না হলেও, তা একেবারে পুরোপুরি ব্যর্থ বলে মনে করেন না ব্যারিস্টার রফিকুল হক৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ