1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রশ্নপত্র ফাঁস

১১ এপ্রিল ২০১৪

বাংলাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এইচএসসি-তে ঢাকা বোর্ডের একটি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ দাবি উঠেছে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির৷

https://p.dw.com/p/1BgFF
‘সরকারের উচিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া’ছবি: picture-alliance/landov

গত ৩রা এপ্রিল শুরু হওয়া এ পরীক্ষায় বাংলাদেশের ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন৷ বৃহস্পতিবার সকালে নির্ধারিত ছিল ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা৷ কিন্তু আগের দিন থেকেই বিভিন্ন স্থানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুঞ্জন শুরু হয়৷ ঢাকার বিভিন্ন ফটোকপির দোকানে প্রশ্নপত্র বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে৷

এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার আগের দিন, অর্থাৎ বুধবার, পরীক্ষা স্থগিত করে দেয় ঢাকা বোর্ড কর্তৃপক্ষ৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে পেলব চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘‘পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র পাবার জন্য মুখিয়ে থাকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী৷ শর্ত থাকে, প্রশ্ন মিলে গেলে তবেই টাকা দেবেন৷ সেই প্রশ্নপত্রের দাম আকাশছোঁয়া৷ লাখ লাখ টাকায় সেসব প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়৷ চোখের পলকেই সেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে যায় মুঠোফোন থেকে মুঠোফোনে৷ ফেসবুক থেকে ফেসবুকে৷ ই-মেল থেকে ই-মেলে৷''

Bangladesch Schüler Schulkasse in Dhaka Prüfung
ছবি: picture-alliance/landov

একই ব্লগে ইমতিয়াজ ইমন লিখেছেন, ‘‘এদেশে প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়৷ কারা প্রশ্ন ফাঁস করছে সেটাও নিশ্চয়ই তাঁর (শিক্ষামন্ত্রী) জানার কথা৷ তারপরও কেন এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয় না সেটাই এক রহস্য৷ সরকারের উচিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া৷ এই জঘন্য কাজের জন্য এর চেয়ে ছোট কোনো শাস্তি আর নেই৷''

তাঁর এই লেখায় আমিনুর রহমান মন্তব্য করেছেন, ‘‘প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন ভাইরাসের মতো ছড়াচ্ছে!....আজিব দেশে বাস করছি!''

আনোয়ার কামালের মন্তব্য, ‘‘জড়িতদের বিচার হয় না বলেই বার বার প্রশ্ন ফাঁস হয়৷''

পেলব চক্রবর্তী তাঁর ব্লগে লিখেছেন, ‘‘প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণের সঙ্গে জড়িত থাকার শাস্তি তিন বছর থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড৷'' তাঁর কথায়, ‘‘এই বিধানের পরও অসংখ্য পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে৷ হাতে গোনা কয়েকটির তদন্ত হয়েছে৷ যাদের হাত দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, তারা হয়ত মাঝে-মধ্যে ধরা পড়েছে৷ আবার ছাড়াও পেয়েছে৷ কিন্তু এর কল-কব্জা যারা নাড়াচ্ছে, আইন তাদের স্পর্শ করতে পারছে না৷ অদূর ভবিষ্যতে পারবে বলে মনেও হয় না৷''

এই লেখায় আমিনুর রহমানের মন্তব্য, একটি প্রশ্ন ফাঁস হলে মেলের মাধ্যমে দেশের আনাচে কানাচে মিনিটের মধ্যে ছড়িয়ে যায়৷ তাই সেন্ট্রাল প্রেসগুলোতে যারা চাকরি করেন, তাদের ওপর কড়া নজর রাখা দরকার৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার কষ্ট লাগে সেই অভিভাবকগুলোকে দেখলে যারা প্রাইমারি পড়া সন্তানকে কীভাবে ফাঁসকৃত প্রশ্ন দেয়! আরে বাবা, একটা কোমলমতি বাচ্চা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট না করলে কী এমন যাবে আসবে!''

সংকলন: জাহিদুল কবির

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য