1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ আগস্ট ২০১৪

বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত হচ্ছে৷ মন্ত্রিসভা সোমবার সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে৷ এদিকে আইনমন্ত্রী বলেছেন সংসদের সামনের অধিবেশনইে আইনটি পাস হবে৷

https://p.dw.com/p/1CwLk
Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka
ফাইল ফটোছবি: AP

এখনকার সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসন বা অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে৷ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের অনুমতি দেন৷ কিন্তু সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে তা এখন সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হচ্ছে৷

সোমবার মন্ত্রিসভায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷ এতে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অভিশংসন বা অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে আবার ফিরে যাচ্ছে৷ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়৷

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ‘‘উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অভিশংসন বা অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সংবিধান সংশোধন আইনের বিল আসন্ন সংসদ অধিবেশনেই উত্থাপন করা হবে৷'' তিনি বলেন, ‘‘আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় সংসদ অধিবেশন বসছে৷ আশা করি, ওই অধিবেশনেই বিলটি পাস হবে৷''

মন্ত্রী বলেন, ‘‘সংশোধনীর আলোকে একটি আইন করা হবে৷ যেখানে একজন বিচারপতিকে কীভাবে অভিশংসন করা হবে তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে৷ এই আইনটি করতে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে৷ আইনে উভয়পক্ষের অধিকার রক্ষা করা হবে৷''

এদিকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেছেন, ‘‘উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অভিশংসন প্রক্রিয়ার বিষয়ে একটি ব্যবহারিক আইন করতে হবে৷ বিচারকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকতে হবে৷''

তিনি সোমবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘‘৭২-এর সংবিধান সবচেয়ে ভালো সংবিধান৷ সংসদের হাতে বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা মৌলিকভাবেই মূল সংবিধানে ছিল৷ বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে বিচারকদের ইমপিচমেন্টের ক্ষমতা সংসদের হাতে রয়েছে৷ এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷''

১৯৭২ সালের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের আলোকে মন্ত্রিসভা এই সংশোধনী পাস করল৷ ঐ অনুচ্ছেদে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ছিল৷ চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে দেয়৷ পরে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে ১৯৭৬ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা বিচার বিভাগের কাছে ন্যস্ত হয়৷ এতে বলা হয়, বিচারপতিদের অভিশংসনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে পারবেন৷

সর্বোচ্চ আদালত পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করলেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা বহাল ছিল৷

আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের শাসনামলে ২০১২ সালে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করার দাবি তোলেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যরা৷ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের দাবির সঙ্গে একমত হন৷ তবে বিএনপি এর বিরোধিতা করছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য