1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সরকারের ইমেজ ক্ষু্ণ্ণ করার চেষ্টা’

১৪ অক্টোবর ২০১৫

বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিতে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছে গ্রামীণ ফোন৷ ডয়চে ভেলের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে অন্যান্য কোম্পানিও এমন নির্দেশনা পেয়েছে বলে জানায় টেলেনর৷

https://p.dw.com/p/1GnfN
Bangladesh Zeitungen Daily Star
ছবি: DW

[No title]

টেলেনর গ্রুপের এশিয়া বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট টর ওডল্যান্ডের ৮ই অক্টোবরে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘গ্রামীণ ফোন, টেলেনর গ্রুপ যার বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক, সহ কয়েকটি বড় কর্পোরেশন বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি নির্দেশনা পেয়েছে৷''

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘কোন কর্তৃপক্ষ?....যেহেতু আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ে কাজ করি আমাদের আসলে এরকম কিছু জানা নাই যে, প্রথম আলো অথবা ডেইলি স্টার, এই পত্রিকাগুলোতে বিজ্ঞাপন বন্ধে সরকার থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এরকম কিন্তু স্পেসিফিক কিছু নাই৷ এরকম অভিযোগ আমরাও শুনেছি৷

‘‘আপনাকে সিম্পল একটা ইকুয়েশন বলি আমি, যদি প্রথম আলো কিংবা ডেইলি স্টারের প্রতি সরকারের ক্ষোভ থাকত তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা একটি বিশেষ লেখা ছাপানোর জন্য প্রথম আলোকে দিতেন না,'' বলেন খোকন৷

সরকারের আনুকূল্য পেতে প্রথম আলো এই লেখা ছেপেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘একটা জিনিস....(হাসি)৷ না এটা তো আপনার ওনারা নিয়েছেন, লেখাটা ছেপেছেন৷ একটা লেখা ছাপিয়ে কি সরকারের আনূকল্য পাওয়া যায়?''

অন্যান্য পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল সরকারের সমালোচনা করলেও তাদের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব বলেন, ‘‘মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো কেন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে না এটা তো উনারাই ভালো বলতে পারবেন৷

‘‘ওনারা (কোম্পানি) অথরিটি কারা সেটা ক্লিয়ার করেন নাই৷ এটা কি মিডিয়া বায়িং যারা করেন তারা বলেছেন নাকি কোম্পানিগুলো বলেছে কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে কে বলেছে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে হবে৷....আমার মনে হচ্ছে কী জানেন, এটা সরকারের ইমেজটা ক্ষুণ্ণ করার জন্যই এই কাজটা করা হচ্ছে'', বলেন খোকন৷

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব বলেন, ‘‘প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে অনেক সাংবাদিক কাজ করেন যাঁরা প্রগতিশীল বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন – যেটা আওয়ামী লীগ সরকারের মূলমন্ত্র৷....আপনি যখন দেখবেন আপনার ওরিয়েন্টেড লোকজন একটা অফিসে কাজ করেন কিংবা যে অফিসের বিশাল একটা অংশ আপনার, আপনি তো সেই পত্রিকার বিরুদ্ধে কোনো স্টেপ নিবেন না যে, বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে৷''

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় সবচেয়ে বেশি পত্রিকা ও সবচেয়ে বেশি টিভি চ্যানেল চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে খোকন বলেন, ‘‘এর ফলে সাংবাদিকদের নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে৷''

সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের উপর কোনোরকম চাপ কিংবা নিয়ন্ত্রণ এখনও পর্যন্ত দেখেননি বলেও জানান তিনি৷

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য