সংলাপ কি ঝুলে গেল?
২৯ অক্টোবর ২০১৩এই সব প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপিকেই এখন সময় জানাতে হবে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন দিন বৈঠক করতে চায়৷ কারণ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সময় অনুযায়ী তারা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেনি৷ প্রত্যাহার করেনি হরতাল তাদের কাছে সংলাপের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেয়ে সহিংস হরতাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ নাসিম বলেন, এখন খালেদা জিয়া অথবা বিএনপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তা বিবেচনা করা হবে৷ কিন্তু আওয়ামী লীগ বা প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে আর উদ্যোগ নেবে না বলে জানান তিনি৷ তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন তাঁর দেয়া নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব নীতিগতভাবে মেনে নিলেই তিনি আন্দোলন স্থগিত করবেন, অন্যথায় নয়৷ কিন্তু কোনো শর্ত দিয়ে আলোচনা হয় না৷ এছাড়া, এরকম শর্ত দিয়ে কোনো সংলাপে যেতে আওয়ামী লীগ রাজি নয়৷
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মঙ্গলবার হরতাল শেষ হলে সরকারকেই আবার আমন্ত্রণ জানাতে হবে৷ কারণ তাদের পক্ষে হরতাল প্রত্যাহার করে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দেয়া সম্ভব ছিল না৷ পর্যাপ্ত সময় দিয়ে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি৷ তিনি বলেন, সরকারের সংলাপের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ আছে৷ তবুও তারা নতুন করে সংলাপের আমন্ত্রণ পেলে যাবেন৷
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সংগে সংলাপে খালেদা জিয়া জামায়াত নেতাদের নিয়ে গেলে, তা কি ধরণের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে বা তা আদৌ গ্রহণ করা হবে কিনা – সে ব্যাপারে এখনো আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি৷ তবে ফোনালাপের দিন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী জামায়াতের কাউকে আমন্ত্রণ জানাননি৷ আর বিএনপি জামায়াতের কাউকে নিতে চায় কিনা, তাও এখনো স্পষ্ট করে বলেনি৷ তবে তাদের সাধারণ কথা হলো, খালেদা জিয়া জোট নেতাদের বাদ দিয়ে যেতে পারেন না৷
ধারণা করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত সংলাপের দিনক্ষণ ঠিক হলেও জামায়াত প্রশ্নে আরেক দফা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে৷ কারণ, এই আন্দোলনে জামায়াত বিএনপির অপরিহার্য শক্তি৷ ওদিকে আওয়ামী লীগ জামায়ত প্রশ্নে এখন পর্যন্ত ছাড় না দেয়ার অবস্থানে আছে৷
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে যাঁর যাঁর দলের পক্ষ থেকে সংলাপ আয়োজনে যোগাযোগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷ মঙ্গলবার বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের হরতাল শেষ হলে হয়ত তাঁরা উদ্যোগ নেবেন৷