ইইউ শীর্ষ সম্মেলন
৯ মার্চ ২০১৭ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলন সাধারণত বেশ গতানুগতিক বিষয়৷ সাধারণ মানুষের মনে বিশেষ আগ্রহ দেখা যায় না৷ সদর দপ্তর ব্রাসেলস শহরে এবারের সম্মেলন অবশ্য একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে৷ ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ব্রেক্সিট' বা ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করার আগে সম্ভবত এটাই শেষ ইইউ সম্মেলন৷ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এই সম্মেলনেই সেই চিঠি পেশ করতে চেয়েছিলেন৷
তবে দেশে রাজনৈতিক জটিলতার কারণে এ যাত্রা সেটা সম্ভব হচ্ছে না৷ ব্রিটেন এই প্রক্রিয়া শুরু করলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিচ্ছেদ সংক্রান্ত পরিকল্পনার খসড়া পেশ করবে বলে ইইউ জানিয়েছে৷ ২ বছরের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তা না হলে জটিলতা দেখা দেবে৷
ব্রিটেনের বিদায় আসন্ন হলেও ভবিষ্যতে ইইউ-র সদস্যসংখ্যা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ শুরু হচ্ছে৷ বলকান অঞ্চলের ৬টি দেশকে নীতিগতভাবে স্বাগত জানাতে চলেছেন ইইউ নেতারা৷ আলবেনিয়া, বসনিয়া, কসোভো, মন্টেনেগ্রো, ম্যাসিডোনিয়া ও সার্বিয়া এই লক্ষ্যে সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে তাদের নিজেদের মধ্যে কিছু বিবাদ ও অভ্যন্তরীণ জটিলতার ফলে প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠতে পারে৷ যেমন সার্বিয়া কসোভোকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ৷
ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড টুস্ক পুনর্নির্বাচনের আশা করছেন৷ অথচ তাঁর নিজের দেশ পোল্যান্ড এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাল্টা প্রার্থী খাড়া করছে৷ তবে জার্মানিসহ একাধিক দেশ টুস্কের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে তিনি নিজের পদে বহাল থাকবেন – এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)