বিদায়ী বছরে ক্রীড়া জগতে এশিয়ার সাফল্য ও ব্যর্থতা
২৮ ডিসেম্বর ২০১২লন্ডন অলিম্পিক-এ চীনের ৩৮টি স্বর্ণজয়ের ঘটনাকেই এশিয়ার সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ এতগুলো স্বর্ণ জয় করে ২০১২ অলিম্পিক আসরে পদক জয়ের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল চীন৷ তবে একইসাথে কিছু বিতর্কের মুখেও পড়েছে তারা৷ ল্ন্ডন আসরে চীনা তারকা সাঁতারু ইয়ে শিয়েন এর মাদক গ্রহণের অভিযোগ চীনের জয়কে ম্লান করে দিয়েছে৷ এছাড়া তারকা ক্রীড়াবিদ লিউ জিয়াং ও চীনা ব্যাডমিন্টন দলকে নিয়েও বেশ লজ্জায় পড়তে হয়েছে চীনকে৷
বেশ আশ্চর্যের বিষয় হলো, অলিম্পিক আসরে ভারতের খুব অল্প প্রত্যাশা৷ কারণ লন্ডন আসরে ভারতের অলিম্পিক কর্মকর্তারা যখন মাত্র ছয়টি পদক জয় করেই সেটিকে বিশাল অর্জন বলে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে, তখন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা খুব অবাক হয়েছেন৷ এছাড়া ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে জটিলতা তো রয়েছেই৷
আর ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে ২০১২ সালটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে শচীন টেন্ডুলকারের শততম শতকের জন্য৷ এরপরেই রয়েছে ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে টেন্ডুলকারের বিদায়৷ তবে একইসাথে রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের বিদায়ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য কিছুটা শঙ্কার জন্ম দেয়৷ ক্রিকেটে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল আয়োজন করে৷ তবে এই আসরে এশিয়ার আয়োজকরা শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি৷ বরং শিরোপা চলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে৷
বিদায়ী বছরে অলিম্পিক আসরে বড় ধরণের সাফল্য পেতে বেশ বিনিয়োগ করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া৷ আর তাই বিনিয়োগ অনুসারে সাফল্যও পেয়েছে সৌল৷ ১৩টি স্বর্ণ পদক জয় করে তারা৷ এছাড়া প্রথমবারের মতো অলিম্পিক আসরে পদক জয়ের ক্ষেত্রে পঞ্চম স্থানে পৌঁছায় দক্ষিণ কোরিয়া৷ এক্ষেত্রে এবার তারা জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মতো প্রভাবশালী দেশগুলোকে পিছনে ফেলে দেয়৷
এছাড়া ফুটবলে প্রাধান্য বজায় রাখে কোরিয়া ও জাপান৷ তবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে বছরটা পার করতে হয়েছে তাদের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বিন হাম্মাম-এর ঘুস কেলেঙ্কারির ঘটনা সামলাতে৷ কারণ ২০১১ সালের মে মাসে ঘুস দেওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রথমত ফিফা কাতারের এই ক্রীড়া সংগঠককে বহিষ্কার করে৷ ফলে এই কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে বেশ হোঁচট খেতে হয়েছে এশিয়ান ফুটবল সংস্থাকে৷
এএইচ/ডিজি (রয়টার্স)