1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশিদের ওপর হামলার নেপথ্যে

১২ জানুয়ারি ২০১৬

বিদেশিদের ওপর হামলা কারা চালালো তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে৷ পুলিশ বলছে, হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানিয়ে লোকজন একত্র করার উদ্যোগও নিয়েছিল কিছু লোক৷ হামলার নেপথ্যের ওই মানুষগুলো কারা?

https://p.dw.com/p/1HbpY
Köln Hauptbahnhof Vorplatz
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg

‘থার্টি ফার্স্ট নাইট'-এর কলঙ্কজনক ঘটনার রেশ কাটার আগেই শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষ৷ যে দেশের সরকার অভিবাসী গ্রহণে সবচেয়ে উদার নীতি অবলম্বন করেছিল, সেই দেশই গত ১লা জানুয়ারি থেকে আর অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাদরে গ্রহণ করছে না৷ বরং বইতে শুরু করেছে উল্টো স্রোত৷ নতুন অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে অস্ট্রিয়ায়৷ প্রথমে দিনে ৫০-৬০ জন করে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছিল, এখন সংখ্যাটি বেড়ে দুই শতাধিক হয়েছে৷

বিশ্লেষকদের একটা অংশ মনে করছেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট'-এর উৎসবকে আতঙ্কময় দুঃস্বপ্নের কালোরাত করে দেয়া ঘটনার কারণেই শরণার্থীদের প্রতি জার্মান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির এই আকস্মিক পরিবর্তন৷

ডিসেম্বর থেকেই কিছুটা কঠোর হয়েছিল জার্মানি৷ তখন দিনে ৫০-৬০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরানো হচ্ছিল৷ তবে ২০১৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কোনো কোনো দিন ২০০-র বেশি মানুষকেও ফিরে যেতে হচ্ছে৷

জার্মানির প্রতিবেশি দেশগুলো অবশ্য আগে থেকেই এমন অবস্থানে৷ সুইডেন অভিবাসন প্রত্যাশীর স্রোত সামলাতে ডেনমার্ক সীমান্তে নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে৷ ডেনমার্কও জার্মানি থেকে নতুন কোনো অভিবাসন প্রত্যাশী যাতে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ আর শরণার্থী বাড়াতে অস্ট্রিয়াও অনিচ্ছুক৷ তাই স্লোভেনিয়া সংলগ্ন সীমান্ত অবাধে অতিক্রম করে সেই দেশে প্রবেশ করা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না৷ গত ১লা জানুয়ারিও ৬৫২ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরত পাঠিয়েছে অস্ট্রিয়া৷

জার্মানিতে এখন নতুন করে শরণার্থী গ্রহণের চেয়ে যাঁরা ইতিমধ্যে আশ্রয় পেয়েছেন, তাঁদের নিয়েই আলোচনাটা বেশি হচ্ছে৷ আলোচনা-সমালোচনা জোরদার হয়েছে কোলনে নারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনা ঘটার পরে৷ দক্ষিণপন্থিরা ইতিমধ্যে উদারভাবে শরণার্থী গ্রহণ করে দেশের সমস্যা বাড়ানোর অভিযোগে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের পদত্যাগের দাবিও তুলতে শুরু করেছে৷

তবে বিশ্বের সব প্রান্তেই এখন চলছে কোলন নিয়ে আলোচনা৷ ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট'-এর কেলেঙ্কারির পর গত সোমবার সাতজন বিদেশির ওপর অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তির হামলা আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে৷

Infografik ARD-Deutschlandtrend vom 7.1.2016 Ereignisse in Köln ENG

প্রশ্ন উঠেছে, ২০১৫ সালের শেষ লগ্নের অনাকাঙ্খিত, অপ্রীতিকর ঘটনা কি বিদেশি-বিরোধীদের আবার সক্রিয় হবার সুযোগ করে দিলো? আরেকটা প্রশ্নও উঠেছে৷ সোমবার ছয় পাকিস্তানি এবং একজন সিরীয়র ওপর হামলা কি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর চালানো পরিকল্পিত হামলা?

পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত যে সোমবারের হামলার আগে একটি গোষ্ঠী বিদেশিদের বিরুদ্ধে লোকজনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারা সক্রিয় ছিল – এমন প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ৷ কোলন পুলিশের মুখপাত্র নরবার্ট ভাগনার বলেছেন, তাঁরা মনে করেন সোমবারের দু'টি হামলা ছিল ডানপন্থিদের বিদেশি-বিরোধী পরিকল্পিত হামলা৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান