1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি লাগবে: আলমগীর কবির

২৪ ডিসেম্বর ২০১১

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি লাগবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড৷ ভর্তুকি না বাড়ালে এর উৎপাদন কমবে এবং আগামী গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং বাড়বে, জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান৷

https://p.dw.com/p/13YYZ
Auf dem Bild: Stromverbindungen in Bangladesch. Foto: A H M Abdul Hai, Bengali Redaktion, DW, Bonn. 27.08.2011
ফাইল ছবিছবি: DW

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে গ্যাসের স্বল্পতা ও কয়লার অনিশ্চয়তার কারণে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগ দেয়৷ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোয় প্রতি ইউনিটে খরচ দুই টাকা বেড়ে গেছে৷ চলতি ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বলেন, দেরি করে দাম বাড়ানোয় বরাদ্দের অতিরিক্ত ভর্তুকি লাগবে৷ তবে এতেও গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং একটু বাড়তে পারে৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়লে তার ব্যয় সরকারকেই বহন করতে হবে৷ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম বলেন, আমাদের দেশে ২০ শতাংশর মত তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে৷ সেখানে অবশ্যই মুল্য সমন্বয়ের দরকার আছে৷ তবে এই সমন্বয় করে আমরা দাম কত দূর নিতে পারব৷ মানুষের সামর্থ্যেরও তো একটা ব্যাপার আছে৷

আর এক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন মনে করেন, জ্বালানি খাতের ভর্তুকির জন্য সরকার যদি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রেখে থাকে তাহলে আরো দুই হাজার কোটি টাকা তাদের সংগ্রহ করতে হবে৷ তবে পিডিবিকেও বুঝতে হবে তারা তিন বছর চেয়েছে ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য, আর ফার্নেস অয়েলের জন্য ৫ বছর৷ আর এই মেয়াদ শেষ হলে তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ আনতে হবে৷

এতকিছুর পরও বিদ্যুৎ বিভাগ দাবি করেছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে গেলে গড় উৎপাদন খরচ কমতে থাকবে, আর ভর্তুকিও কমবে৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য