বিপজ্জনক আফগানিস্তান
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১আততায়ী বস্তুত একজন আফগান সৈন্য৷ ‘‘ওপি নর্থ'' নামের যে শিবির বহির্ভূত ঘাঁটিতে পুরো ঘটনাটি ঘটে, সেখানেই সে প্রহরার কাজে নিযুক্ত ছিল৷ জার্মান সরকার একটি অভিসন্ধিমূলক সন্ত্রাসী আক্রমণের কথা বলছেন৷ অপরদিকে এ'ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আফগান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে৷ বার্লিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী আফগান সৈন্যটি শুক্রবার জার্মান সৈন্যদের ক্যাম্পটি বাইরে থেকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত ছিল৷ ক্যাম্পে ফেরার সময় সে হঠাৎ এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে৷ আততায়ী নিজেও জার্মান সৈন্যদের পাল্টা গুলিতে নিহত হয়৷ অবশ্য আততায়ীর উদ্দেশ্য কি ছিল, তা এখনও অজ্ঞাত৷
শুধু বাঘলানেই নয়, উত্তর আফগানিস্তানের যে স্থানটিতে জার্মান সৈন্যদের মূল অবস্থিতি, সেই কুন্দুসেও জার্মান সৈন্যদের উপর আক্রমণের একটি ঘটনা ঘটেছে৷ জার্মান সৈন্যদের একটি টহলদারি গোষ্ঠী স্থানীয় সময় রাত ন'টা নাগাদ তাদের কুন্দুস সেনাশিবিরের আট কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আক্রান্ত হয়৷ দৃশ্যত তাদের দিকে গুলি এবং মর্টার ছোঁড়া হয়৷ ঘটনায় চারজন জার্মান সৈন্য স্বল্প আঘাত পায়৷
ওপি নর্থ বলতে অবজারভেশন পয়েন্ট নর্থ, অর্থাৎ শত্রুকে পর্যবেক্ষণের কেন্দ্র বা স্থল, সেনাবাহিনীর যেমন থেকে থাকে৷ তবে এই বিশেষ স্থলটি সম্ভবত আফগানিস্তানে জার্মান সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বিপজ্জনক ঘাঁটি বলে পরিগণ্য৷ মাত্র গত বৃহস্পতিবার রাত্রে স্বয়ং প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-থেওডোর সু গুটেনব্যার্গ ঐ ওপি নর্থেই রাত কাটিয়েছেন৷ এবং শুক্রবারের ঘটনার পরও গুটেনব্যার্গ আফগান সেনাবাহিনীর সঙ্গে তথাকথিত ‘‘পার্টনারিং'' নিয়ে প্রশ্ন তোলার ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন৷ তার থেকে শুধুমাত্র শত্রুপক্ষই সুবিধা লাভ করবে, বলে মন্তব্য করেছেন গুটেনব্যার্গ৷
ওদিকে গুটেনব্যার্গ স্বয়ং তাঁর ডক্টরেট থিসিস'এ অপরের লেখা থেকে ব্যাপকভাবে নকল করার অভিযোগের সম্মুখীন৷ তিনি আপাতত তাঁর ডক্টর উপাধি ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়েছেন৷ যদিও ব্যাপারটার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি বায়রয়েথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে৷ সেদিক দিয়ে গুটেনব্যার্গ কিছুটা দম ফেলার সময় পাচ্ছেন৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও তাঁকে আপাতত রেহাই দিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার