বিপর্যস্ত সুন্দরবন
আমফানে বিধ্বস্ত সুন্দরবনে শুধুই হাহাকার। ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। গ্রামের ভিতর চলছে জোয়ার ভাটা।
একমাত্র সম্বল
৮০ বছরের এই বৃদ্ধা আমফানে ঘর হারিয়েছেন, হারিয়েছেন স্বজন। কেবল এই ভেড়াটিকে নিয়ে বেঁচে আছেন রাস্তার ধারে।
গ্রামের ভিতর নদী
নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। মিনাখা ব্লকের এই গ্রামের ভিতর ঢুকে পড়েছে নদী। চলছে জোয়ার-ভাটা। গ্রামের মানুষ রাস্তাতে ঘর বেঁধেছেন।
এটাই গ্রাম
জোয়ারের জল ঢুকলে বাড়ির চালও ডুবে যাচ্ছে। নোনা জলে সমস্ত জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
শুধু ধ্বংসস্তূপ
এক সময় এটাই ছিল সুজলা সুফলা গ্রাম। সমস্ত বাড়ি ভেঙে গিয়েছে ঝড়ের তাণ্ডবে। মরুভূমির মতো পড়ে রয়েছে নোনা মাটি।
পুকুরেও নোনা জল
পুকুরের মিষ্টি জলে মাছ চাষ হতো। ঝড়ের পর ভেসে উঠেছে মরা মাছ। পাইপ দিয়ে পুকুরের নোনা জল বার করার মরিয়া চেষ্টা।
জীবনের শেষ
এ ভাবেই আল বেয়ে বাঁধের দিকে যায় রাস্তা। এখন আলের ধারে কেবলই জল। অনেকটা ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে রয়ে গিয়েছে খানিকটা বাঁধানো নদী বাঁধ।
টিউবয়েলের জলেও নোনা
গ্রামের ডিপ টিউবয়েল থেকেও নোনা জল বার হচ্ছে। একমাত্র এই কলেই সামান্য মিষ্টি জল মিলছে।
চর ছেড়েছে মানুষ
ঝড়ের আগেই চর ছেড়ে আশ্রয়শিবিরে চলে গিয়েছিলেন মানুষ। নদী পথে একের পর এক চর এমনই ধ্বংসের স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
চলছে ত্রাণ
সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে চলছে ত্রাণের কাজ। নদীর ধারে সামান্য চাল পেতে লাইন দিচ্ছেন মানুষ। কোনও কিছুই যথেষ্ট নয়।
কোথায় করোনা
আমফান করোনার ভয়ও কেড়ে নিয়েছে। সব হারানো মানুষ এখন মৃত্যুকেও ভয় পান না।