বিভিন্ন দেশের বিয়ের ঐতিহ্য

জার্মানিতে বিয়ে অনুষ্ঠানের একটি অংশ ‘পল্টারআবেন্ড’৷ এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা পুরনো কাঁচের থালা-বাসন নিয়ে উপস্থিত হন৷ এরপর সেগুলো মাটিতে ছুড়ে ভাঙা হয়৷ বলা হয়, বাসন ভাঙার শব্দ নাকি ভাবি দম্পতিকে অশুভ শক্তি থেকে দূরে রাখে৷ শেষে বর-কনেকে ভাঙা টুকরোগুলো পরিষ্কার করতে হয়৷ দাম্পত্য জীবনে তারা একে-অন্যকে কতটা সাহায্য করবে, সেটাই দেখা হয় এর মাধ্যমে৷

কনের এই পোশাকটির নাম ‘কিসওয়া’৷ হীরা আর মুক্তা দিয়ে সাজানো বিয়ের এই পোশাকটি ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকেই সেটা একদিনের জন্য ধার করে৷ এক রাতের জন্য ভাড়া সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা হয়ে থাকে৷

বরের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য কনের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়৷ আর বিয়ের দিন বর তিন চারজন সঙ্গীকে নিয়ে গান গাইতে গাইতে কনের বাড়ি যান৷

বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের সঙ্গে অন্য কোনো পুরুষ নাচতে চাইলে নাচার সময় কনের পোশাকে টাকা গুজে দিতে হয়৷ নবদম্পতিকে তাদের বিয়ের ও মধুচন্দ্রিমার খরচ তুলে দিতে সহায়তা করতে এই প্রথা চালু আছে৷

নবদম্পতি দুটি ঘুঘু ওড়ান৷ একটি পুরুষ, অন্যটি নারী৷ ভবিষ্যতে নবদম্পতির সুন্দর দাম্পত্য জীবনের প্রতিনিধিত্ব করে এই দুই ঘুঘু৷

মাসাইদের বিয়ের দিন কনের বাবা কনেকে থুথু দেন৷ একে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়৷ কেনিয়ার মাসাই জনগোষ্ঠীর নিয়ম অনুযায়ী, কাউকে থুথু দেয়া তাকে সম্মান জানানো হিসেবে দেখা হয়৷

বিয়ের দিন অতিথিরা বর ও কনের দিকে টাকা ছুড়ে মারেন৷ এভাবে অতিথিরা নবদম্পতিকে নিয়ে তাদের সুখি হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন৷

বিয়ের কেকে একটি ভুয়া আংটি থাকে৷ সেটি যদি বিয়েতে উপস্থিত কোনো অবিবাহিত মেয়ের প্লেটে পড়ে তাহলে মনে করা হয় যে, এরপর তার বিয়ে হবে৷

বিয়ের দিন কনের বন্ধুবান্ধুব ও পরিবারের সদস্যরা তাকে ‘অপহরণ’ করে নিয়ে যায়৷ কনেকে ফেরত পেতে বরকে মুক্তিপণ দিতে হয়৷ অনেকসময় সেটা পানীয় কেনা হতে পারে কিংবা রোমান্টিক অঙ্গভঙ্গিও হতে পারে৷

কনের বাবার কাছ থেকে বিয়ের অনুমতি নিতে যাওয়ার সময় বরের পরিবার কনের বাবাকে অনেক সময় তিমির দাঁত উপহার দেন৷

ছবিটি ইরানের হলেও এটি আসলে সেখানকার সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ‘তুর্কমেন’-দের একটি বিয়ের অনুষ্ঠান৷ সংখ্যালঘু হওয়ায় তুর্কমেনদের ভাষা ও সংস্কৃতি খোদ ইরানিদের কাছে ততটা পরিচিত নয়৷ তিন-চারদিন ধরে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়৷

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের ক্ষেত্রে এখনও প্রচলিত নিয়মগুলো পালন করা হলেও তরুণরা ইদানীং পশ্চিমা ধাঁচের দিকে ঝুঁকছে৷ সে অনুযায়ী তরুণীরা সাদা গাউন আর তরুণরা কালো জ্যাকেট পরে বিয়ে করছেন৷