বিভিন্ন শহরের নিউ ইয়ার পার্টি
পৃথিবীতে সবার আগে ২০২০ সালে প্রবেশ করবে সামোয়া নামের দ্বীপরাষ্ট্র৷ ২৪ ঘণ্টা পর হাওয়াইতে গিয়ে শেষ হবে নতুন বছরের উদযাপন৷ এই ২৪ ঘণ্টা জুড়েই বিশ্বের বিভিন্ন শহর রঙিন হয়ে উঠবে আতশবাজির আলোয়৷
মন্ট্রিল
গরম কাপড় পরে ক্যানাডার মন্ট্রিল বন্দরে আতশবাজি দেখার আনন্দই আলাদা৷ শহরটিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ উপস্থিত হন৷ কুইবেক প্রদেশের সবচেয়ে বড় এ শহরটিতে বরফে স্কি করা এবং বরফে ঢাকা পাহাড়ে হাইকিং করাও এই উদযাপনের অংশ৷ আতশবাজি শেষ হলে বিভিন্ন ক্লাবে নেচে গেয়ে কাটানো যাবে রাত৷
রিও ডি জেনেইরো
ব্রাজিলের এই শহরটিতে নতুন বছরের মধ্যরাত বেশ রোমান্টিক৷ সাগরের ওপরে শোভা পায় আতশবাজি৷ মানুষ পানিতে ফুল ও মোমবাতি ভাসিয়ে নতুন বছরে স্বাগত জানায়৷ সৈকতের পার্টিগুলোতে সাম্বা হচ্ছে মূল আকর্ষণ৷ ব্রাজিলিয়রা মনে করেন, নতুন বছরের প্রথম মুহূর্তে সাদা পোশাক পরলে, তা সৌভাগ্য বয়ে আনে৷
বার্লিন
বার্লিনের নতুন বছর উদযাপন ধীরে ধীরে ঐতিহ্যে পরিণত হচ্ছে৷ জার্মানির রাজধানীতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ব্রান্ডেনবুর্গ গেট আর ভিক্টোরি কলামের মাঝখানে জড়ো হন৷ আতশবাজির খেলা শেষ হওয়ার পরও সারা রাত ধরে চলতে থাকে পার্টি৷
লন্ডন
বিগ বেন ঘোষণা দেয় নতুন বছরের আগমনের৷ এর পরপরই টেমস নদীর ওপর শুরু হয় আলোর খেলা৷ তবে সবচেয়ে ভালো দৃশ্য় দেখতে হলে চড়তে হবে লন্ডন আই-এ৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই ফেরিস হুইলের নববর্ষের টিকেট পাওয়া অবশ্য দুঃসাধ্য৷
প্যারিস
ফ্রান্সের শঁ দ্য মার্স এবং পালে দু ত্র্য তে সবচেয়ে বড় নববর্ষের আয়োজন হয়৷ আইফেল টাওয়ারে আয়োজন হয় লাইট আর লেজার শো৷ শঁস এলিস থেকে দেখা যায় আর্ক দে ত্রিওম্ফ৷ সেখানে প্যারিসিয়ানরা জড়ো হন সবাইকে ‘বন অ্যান্নি’ বা ‘শুভ নববর্ষ’ জানাতে৷
রোম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রিস্টানরা জড়ো হন ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটারস স্কয়ারের পিয়াৎসা সান পিয়েত্রোতে৷ সেইন্ট পিটারস ব্যাসিলিকায় পোপ নিজে আসেন নববর্ষ উদযাপন করতে৷ এই উদযাপনের টিকেট পাওয়া যায় বিনামূল্যে৷ কিন্তু আসন সীমিত, কেবল ১০ হাজার৷
প্রাগ
চেকিয়ার রাজধানী প্রাগে আশেপাশের পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করা হয় আতশ৷ আপেল কেটে প্রাগবাসী বরণ করেন নতুন বছর৷ যদি আপেলের মাঝখানে তারার আকৃতি পাওয়া যায়, সেটিকে সৌভাগ্যে প্রতীক বিবেচনা করা হয়৷
মাদ্রিদ
স্পেন রাজধানীর কেন্দ্র পুয়ের্তা দেল সোল স্কয়ারে সবচেয়ে বড় পার্টির আয়োজন হয়৷ স্পার্কলিং ওয়াইন এবং আঙুর নিয়ে সবাই সেখানো জড়ো হন৷ ঘড়ির কাঁটা যখন নতুন বছরের ঘোষণা দেয়, তখন ঘণ্টার প্রতিটি আওয়াজের সঙ্গে একটি করে আঙুর খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে স্পেনে৷ প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে আঙুর খাইয়ে দেন৷ একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷
জেনেভা
সম্ভবত নতুন বছর উদযাপনের সবচেয়ে খরুচে স্থান সুইজারল্যান্ডের এই শহর৷ লেক জেনেভায় আতশবাজি দেখার পাশাপাশি প্যাডেল হুইল স্টিমারে ছয় পদের ডিনার এবং শ্যাম্পেন পানের আয়োজন করা হয়৷ পুরো লেকের পাড় নানা রঙের আলোতে সাজিয়ে তোলা হয়৷