1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমান চলাচল পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা

১১ ডিসেম্বর ২০২৩

আকাশপথে চলাচল পরিবেশবান্ধব নয়৷ বিমান থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশের ক্ষতি করে৷ এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন প্রকৌশলীরা৷ এর মধ্যে একটি, হাইড্রোজেন ইঞ্জিন দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা৷

https://p.dw.com/p/4a0GJ
তরল হাইড্রোজেন দিয়ে চলা বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন৷
ভবিষ্যতে উড়াল পরিবেশবান্ধব করতে তরল হাইড্রোজেনের উপর নির্ভর করতে হবে৷ছবি: DW

জার্মানির ‘এইচটুফ্লাই’ কোম্পানির কর্মীরা দুই বছর ধরে এ লক্ষ্যে কাজ করছেন৷ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইওসেফ কালো জানান, ‘‘আমাদের প্রযুক্তি পরীক্ষা করার প্ল্যাটফর্মের নাম এইচআইফোর৷ আমরা হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহার করি, যেটা বৈদ্যুতিক মোটরকে বৈদ্যুতিক শক্তি দেয়৷ নতুন এই সংস্করণে ফুয়েল সেলকে হাইড্রোজেন দিতে প্রেসারাইজড ট্যাঙ্কের পরিবর্তে তরল ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়, যার ধারণক্ষমতা বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ বেশি৷’’

খারাপ আবহাওয়ার কারণে ইওসেফ কালোর দলকে কয়েকবার টেস্ট ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে৷ তবে আজকের দিনে সব ঠিক আছে৷

পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন ইঞ্জিন দিয়ে বিমান চালানোর চেষ্টা

ইওসেফ কালো বলেন, ‘‘তরল হাইড্রোজেনের কারণে অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার সুযোগ আছে, যা এভিয়েশন খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷’’

তাদের প্রকল্পের উপর সবাই নজর রাখছে, কারণ এয়ারবাসের মতো বড় কোম্পানিকেও ভবিষ্যতে উড়াল পরিবেশবান্ধব করতে তরল হাইড্রোজেনের উপর নির্ভর করতে হবে৷ এইচটুফ্লাই কোম্পানি যদি এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায় তাহলে তাদের সিস্টেম আরও ছোট ও কমপ্যাক্ট করতে হবে৷ দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ডিও৩২৮ টাইপের এই যাত্রীবাহী বিমানের জন্য তাদের একটি উপায় বের করতে হবে৷ ৩৩ আসনের এই বিমানের নির্মাতা ‘ডয়চে এয়ারক্রাফট' একে পরিবেশবান্ধব উড়ালের উপায় হিসাবে দেখছে৷

ব্রিটিশ কোম্পানি ‘জিরোএভিয়া’ এ বছরের শুরুতে একটি ছোট দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট প্লেনের পরীক্ষামূলক উড়াল সম্পন্ন করেছে৷ তবে মাত্র একটি বৈদ্যুতিক মোটর ও বায়বীয় হাইড্রোজেন ছিল৷ অন্য মোটরটি ছিল সাধারণ কম্বাশান ইঞ্জিন৷

হাইড্রোজেনে চলবে গাড়ি

এয়ারবাসও হাইড্রোজেন প্রপালশনে আগ্রহী৷ তাই তারা ঐ কোম্পানির কিছু অংশ কিনে নিয়েছে৷ দুই বছরের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ রুটে চলা বিমানকে হাইড্রোজেনচালিত করতে চায় এই স্টার্টআপ কোম্পানি৷

বিমান নির্মাতা বিশেষজ্ঞ মির্কো হর্নুং আশা করছেন, ‘‘যে গতিতে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ২০৪০-এর মধ্যে এটা প্রস্তুত হয়ে যাবে৷ ৫০ থেকে ৭৫ বা ৮০ যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ছোট প্লেনের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে৷’’

শুধু ইঞ্জিন নয়, সম্পূর্ণ নতুন প্রক্রিয়ার কথা ভাবা হচ্ছে - এয়ারক্রাফটের নকশা থেকে শুরু করে হাইড্রোজেন উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার৷

স্টুটগার্টের কোম্পানিটি দেখিয়েছে, কী করা সম্ভব৷ তরল হাইড্রোজেন দিয়ে আজ ৭০০ কিলোমিটার যাওয়া যাচ্ছে, ভবিষ্যতে যাওয়া যাবে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ৷ ভবিষ্যতে ট্রান্স-আটলান্টিক ফ্লাইট পরিচালনাও সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

মার্কুস ব্যোনিশ/জেডএইচ