বিমান চলাচলের জন্যে মুক্ত ইউরোপের আকাশ
২১ এপ্রিল ২০১০প্রায় এক সপ্তাহ পর, বিমান চলাচলের জন্যে ইউরোপের আকাশ মুক্ত করে দেয়া শুরু হয়েছে৷ আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির কারণে, ভেঙ্গে পরেছিল ইউরোপের বিমান চলাচল ব্যবস্থা৷ বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোকন্ট্রোল বলেছে, বুধবার ইউরোপের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ ফ্লাইট চলাচল করার কথা রয়েছে৷
পুনরায় বিমান চলাচলের জন্যে ইউরোপের আকাশ মুক্ত করে দেয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দর খুলে দেয়া হয়েছে বুধবার থেকে৷ আইসল্যান্ডের এইয়াফিয়াদলা আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই নির্গত হয়ে, ইউরোপের আকাশে ছাই মেঘ ছড়িয়ে পরে, আর এইকারণেই প্রায় এক সপ্তাহ ইউরোপের আকাশে বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল বলা চলে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে আটকে পরেন লাখ লাখ বিমান যাত্রী৷
গত ছয় দিনে অন্তত ৯৫ হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংগঠন আইএটিএ জানিয়েছে, ছাই মেঘের কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ায়, এয়ারলাইনগুলোর ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে৷
আইসল্যান্ডের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, সপ্তাহান্ত থেকে আগ্নেয়গিরিটি তার শতকরা ৮০ ভাগ তীব্রতা হারিয়েছে৷ বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোকন্ট্রোল বলছে, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
মঙ্গলবার স্পেনের আটটি বিমানবন্দর থেকে ২৯০টি বিশেষ ফ্লাইটে ৪০ হাজারেরও বেশি ইউরোপিয় যাত্রী প্রত্যাবাসিত হয়েছেন৷ জার্মানি, ব্রিটেন এবং নেদারল্যান্ডস বিমান চলাচলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে৷ জার্মানির সবগুলো বিমান বন্দরই বুধবার খুলে দেয়া হয়েছে৷ ব্রিটেনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কতোটা ঝুঁকি রয়েছে, তা পর্যালোচনা করার পর, মঙ্গলবার থেকেই বিমান চলাচলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে৷ ডাচ এয়ারলাইন কে এল এম বলছে, বুধবার আমস্টার্ডামের শিফল বিমানবন্দর থেকে আন্তর্মহাদেশীয় সব ফ্লাইট এবং ইউরোপের প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ ফ্লাইটই শুরু করার আশা করছে৷
এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এইয়াফিয়াদলা আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই নির্গমন ধীরে ধীরে কমে আসছে৷ আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এইয়াফিয়াদলা আগ্নেয়গিরিটি থেকে, হালকা ধোঁয়া এবং স্বল্প পরিমাণ ছাই নির্গত হতে দেখা গেছে বুধবারও৷ তবে এই ছাই এবং ধোঁয়া ছড়িয়ে পরেছে ৩ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত, কয়েকদিন আগেও এই ছাই ছড়িয়ে পড়ছিল ১১ কিলোমিটার উচ্চতায়৷
প্রতিবেদক : ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা : সঞ্জিব বর্মন