‘বিমান ভ্রমণ আগের চেয়ে নিরাপদ'
২৫ মার্চ ২০১৫মঙ্গলবারের দুর্ঘটনাটি একটি বিরল ঘটনা বলে মনে করেন ডিডাব্লিউর হেনরিক ব্যোমে৷ তাঁর মতে, ইউরোপের আকাশ বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ উড্ডয়ন এলাকা৷
এদিকে বুধবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ দুর্ঘটনায় বিমানের দেড়শো আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে৷
নিহতদের স্মরণে জার্মান চ্যান্সেলর কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে৷
ফ্লাইট ৪ইউ৯৫২৫ এর এমন পরিণতির পর জার্মানউইংসের অনেক ক্রু আর ফ্লাইট পরিচালনায় যুক্ত হতে চাইছেন না৷ ফলে কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে৷
দুর্ঘটনা কবলিত ফ্লাইটের নম্বরটি ভবিষ্যতে আর না ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লুফটহানসা৷
জার্মানউইংসের বিমানটি কোথায় দুর্ঘটনায় পড়েছে চার্ট আর ম্যাপ এর মাধ্যমে সেটা দেখিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷
ফ্লাইট ৪ইউ৯৫২৫ বিমানটির দেড়শো জন আরোহীর মধ্যে জার্মানির একটি স্কুলের ১৬ জন শিক্ষার্থীও ছিল৷ তাদের সঙ্গে ছিলেন দুজন শিক্ষক৷ বিনিময় কর্মসূচির আওতায় তারা স্পেন গিয়েছিল৷
শিক্ষার্থীরা যে স্কুলে পড়ত সেখানে তাদের সহপাঠীরা এখন শোকগ্রস্ত৷ ছবির এই বোর্ডে লিখা আছে, ‘‘গতকাল আমরা অনেক ছিলাম৷ আজ আমরা একা৷''
শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে অন্য ফ্লাইটে ওঠায় বেঁচে গেছেন সুইডেনের একটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়রা৷
ফ্লাইট স্ট্যাটাস ট্র্যাকার কোম্পানি ‘প্লেন ফাইন্ডার' এর ওয়েবসাইটে গেলে মঙ্গলবারের জার্মানউইংস ফ্লাইট ৪ইউ৯৫২৫ এর গতিপথ দেখা যাবে৷
বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জার্মান ফুটবল তারকা বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার৷
মাটিয়াস হেনৎসে লিখেছেন, তাঁর এক ধরনের কষ্টের অনুভূতি হচ্ছে কারণ আল্পসের যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে তিনি প্রায়ই গ্লাইডারে করে যেতেন৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন