1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিরোধীদের সংসদে আমন্ত্রণ

২৫ জানুয়ারি ২০১৯

চতুর্থবারের মতো সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রথম ভাষণে বিএনপির নির্বাচিত সাংসদদের সংসদে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৭টায় তিনি এ ভাষণ দেন৷

https://p.dw.com/p/3CCie
Bangladesh Wahl  Sheikh Hasina
ছবি: PID

তাঁর ভাষণে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন আমরা বিরোধীদের সংসদে উপস্থিতি চাই৷ সংসদে বিরোধী দলের যে কোনো সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব, আলোচনা-সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে৷ আমি বিরোধী দলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানাচ্ছি৷''

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশবাসী, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান৷ তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের এই বিজয় সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সহযোগিতার কারণেই সম্ভব হয়েছে৷

২৫ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলের পরাজয়ের কারণ তুলে ধরে বলেন, বিএনপির প্রতীকে জামায়াতের নির্বাচন তরুণ প্রজন্ম প্রত্যাখ্যান করেছে৷ এছাড়া মনোনয়ন বাণিজ্য, একই আসনে তিনের অধিক প্রার্থী, দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া, নিজেদের সাফল্য তুলে ধরতে ব্যর্থতাও হেরে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী অগ্নি-সন্ত্রাস জনগণ মনে রেখেছে৷'' 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভাষণে সকল মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার দৃঢ় অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছেন৷

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরের সাফল্যগাঁথাও তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতনভাতা বিগত ১০ বছরে আড়াই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ সরকারি ও বেসরকারি খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও সমহারে বেড়েছে৷ এসময় তিনি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি এবং কৃষিজীবীদের সার, বীজসহ বিভিন্ন উপকরণে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে প্রণোদনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি৷

শেখ হাসিনা বলেন, শিল্প-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একদিকে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে রপ্তানি বাণিজ্যও প্রসারিত হয়েছে, যার সুবিধা সাধারণ জনগণ পাচ্ছেন৷ শেখ হাসিনা আরো বলেন, পদ্মাসেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাসড়কগুলোকে চার-লেনে উন্নীতকরণসহ মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হওয়ায় সাধারণ মানুষের বর্তমান সরকারের উপর আস্থা জন্মেছে৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০-২০২১ সালে মুজিব বর্ষ এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হবে৷তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক খাতকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন৷  আর এর কৌশল হিসেবে  ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন৷

জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা৷ জনগণের সহযোগিতায় তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাষণ শেষ করেন৷ 

এফএ/এসিবি (বাসস)