বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি, তীব্র প্রতিক্রিয়া
১৭ আগস্ট ২০২২গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কিছু নীতিনির্দেশিকা রাজ্য সরকারগুলিকে পাঠায়। সেখানে বলা হয়, রাজ্য সরকার চাইলে বন্দিদের মুক্তি দিতে পারবে। কিন্তু ধর্ষণের দায়ে শাস্তিপ্রাপ্তদের মুক্তি দেয়া যাবে না বলেও জানানো হয়।
সেইমতো বিলকিস বানোর মামলায় শাস্তিপ্রাপ্তদের মুক্তি দেয়া যায় না। কারণ, তারা গর্ভবতী নারীকে ধর্ষণ ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত। কিন্তু গুজরাট সরকার এক্ষেত্রে নিজেদের নীতি নিয়ে চলেছে এবং ১১ জন অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে। আদালত এক্ষেত্রে মাত্র একজন আবেদনকারীর আবেদন খতিয়ে দেখতে বলেছিল রাজ্য সরকারকে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধী বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তাদের নীতির কথা স্পষ্টভাবে দেয়া আছে এবং সেখানে এটাও বলা আছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কাউকে মুক্তি দেয়া যাবে না। কিন্তু গুজরাট সরকার যাদের মুক্তি দিয়েছে, সকলেই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।
১১জন শাস্তিপ্রাপ্তের মধ্যে একজন চলতি বছরের গোড়ায় আদালতের কাছে আবেদন জানায়। সেই আবেদনে বলা হয়, সে প্রায় ১৫ বছর জেল খেটেছে এবং জেলে সব নিয়ম মেনেছে, তাই তাকে মুক্তি দেয়া হোক। আদালত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার রাজ্য সরকারের উপর ছেড়ে দেয়।
সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া
বিলকিস বানোর স্বামী ইয়াকুব রসুল বলেছেন, তাদের সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তিনি বলেছেন, ''আমরা পরিবারকে হারিয়েছি, এখন আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই। কিন্তু এই খবরে আমরা খুবই দুঃখিত হয়েছি। শাস্তিপ্রাপ্তদের যে মুক্তি দেয়া হয়েছে, তা আমরা মিডিয়ার কাছ থেকেই জেনেছি।''
প্রবীণ আইনজীবী আনন্দ যাজ্ঞিক বলেছেন, ''এভাবে গুরুতর অপরাধীদের ছেড়ে দেয়া নৈতিকভাবে অন্যায়। সরকার কি বার্তা দিতে চাইছে?''
সাহিত্যিক কবিতা কৃষ্ণন টুইট করে মেয়েদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ''মুসলিম বলে বিলকিস কি আপনার নারীশক্তির অংশ নয়?''
এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছেন, মোদী ও বিজেপি শাসকরা মুসলিমদের প্রতি অপরাধকে আমল দেন না।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, রয়টার্স, এনডিটিভি)