বিলাওয়াল সন্ত্রাসের রক্ষক, মুখপাত্র: জয়শঙ্কর
৮ মে ২০২৩গোয়ায় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের(এসসিও) বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। ১২ বছর পর কোনো পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে এলেন। এই সফরের ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে খুবই খারাপ সম্পর্কের উন্নতি হবে কি না, তানিয়ে সংবাদমাধ্যমে জল্পনার অন্ত ছিল না।
কিন্তু জয়শঙ্কর সব জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন। অতিথি বিলাওয়ালকে তিনি অত্যন্ত কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। চীন, রাশিয়া-সহ একাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। ব্যতিক্রম বিলাওয়াল। এই প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''যে দেশ সন্ত্রাসবাদের শিকার, তারা কখনও সন্ত্রাসবাদের মদতদাতাদের সঙ্গে বৈঠক করে না।''
জয়শঙ্কর বলেছেন, ''বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বহুপাক্ষিক কূটনীতির অংশ হিসাবে ভারতে এসেছেন। তার এই সফর নিয়ে আমি এর থেকে বেশি কিছু দেখছি না।'' জয়শঙ্কর মনে করেন, ''সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা ওদের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের থেকেও দ্রুতগতিতে কমছে।''
জয়শঙ্কর যখন এই কথা বলছেন, সেদিনই জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কাছে পাঁচজন ভারতীয় সেনা সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন।
জয়শঙ্কর পরে বলেছেন, ''যদি আমি ভালো অতিথি পাই, তাহলে অতিথি সৎকারও খুব ভালো করে করব। পাকিস্তান একদিকে সন্ত্রাস করবে, সন্ত্রাসে মদত দেয়ার অধিকার দাবি করবে, ন্যূনতম আন্তর্জাতিক রীতি-নিয়ম মানবে না, এটা হয় না।''
জয়শঙ্কর বলেছেন, ''আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত থাকব, তা ঠিক নয়। কিন্তু কোথাও না কোথাও তো একটা লাইন টানতে হবে। যদি প্রতিবেশী আমার শহর আক্রমণ করে, তাহলে তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখা যাবে না।''
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)