অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ
১৫ আগস্ট ২০১৩এমনটি খুব একটা দেখা যায়না৷ কোনো আয়োজনে দোষ-ত্রুটি ধরা পড়লে সচরাচর দোষ ঢাকার কাজেই হামলে পড়েন আয়োজকরা৷ কিন্তু রাশিয়ায় যে অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ হচ্ছে, সেখানে দেখা গেল অন্য নিয়ম৷ গ্যালারিতে দর্শক কম৷ এমনকি ইউসেন বোল্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্টের ফাইনালের জন্য ট্র্যাকে নামার সময়ও গ্যালারির অনেকটা জায়গা ছিল ফাঁকা৷ ১০ হাজার মিটার দৌড়ের ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন মো ফারাহ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ডলার অ্যারিস মেরিট তো সরাসরিই জানিয়েছেন দর্শক উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষের কথা৷
টাটিয়ানা লেবেদেভা বাস্তব পরিস্থিতি একেবারেই অস্বীকার করেননি৷ বরং রাশিয়ার অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অক্ষমতা স্বীকার করে সবার প্রতি সহানুভূতি নিয়ে বিষয়টিকে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘‘হ্যাঁ, বিনামূল্যে টিকিট দেয়ার পরও গ্যালারি ভরছে না, এটা ঠিক৷ আয়োজনে আরো ভুল আছে তা-ও মানছি৷ আমরা অ্যাথলেটিক্সের বড় কোনো আয়োজনের আয়োজক আগে কখনো হইনি৷ ভুল হতে পারে, কেননা, আমরা তো অনেক কিছু শিখছি৷ ''
মেয়েদের লং জাম্পের সাবেক অলিম্পিক সোনাজয়ী টাটিয়ানা এর আগে কোনো বড় আন্তর্জাতিক আয়োজনের অংশ না হলেও ১৯৮০ সালে অলিম্পিক আয়োজন করেছিল রাশিয়া৷ ২০১৪ সালে আবার অলিম্পিকের আসর আর তার চার বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সেখানে৷ অ্যাথলেটিক্স বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের অভিজ্ঞতা থেকে আয়োজক হিসেবে অনেক কিছু শেখার প্রয়োজন আছে বৈকি!
কিন্তু আয়োজন ত্রুটিমুক্ত হলেই গ্যালারি কি দর্শকে ভরে যাবে? শুধু আয়োজনের চাকচিক্য দিয়ে কি দর্শক টানা যায়? স্থানীয় ক্রীড়াবিদরা সফল না হলে দর্শক কেন আসবে? প্রথম দিকে রুশ অ্যাথলিটদের সাফল্যের খরাই নাকি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপবিমুখ করেছে দর্শকদের৷ বিশ্লেষকরা অন্তত তা-ই বলছেন৷
এসিবি/এসবি (এএফপি)