1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব দেখলো উত্তর কোরিয়ার ‘পরবর্তী’ নেতাকে

১০ অক্টোবর ২০১০

বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী নেতা কিম জং উনকে৷ তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নয়৷ এক সামরিক প্যারেডে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে যেখানে উপস্থিত ছিলেন উন৷

https://p.dw.com/p/PaZ8
কিম জং উনছবি: AP

শাসক দলের ৬৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্যারেড আয়োজন করা হয়েছিল৷ যেটা প্রতিবছরই হয়৷ তবে এবারেরটা ছিল সবচেয়ে বড়, এই অর্থে যে, এবার অনেক বেশি সদস্য অংশ নিয়েছেন প্যারেডে, আর অনেক সমরাস্ত্রের প্রদর্শনীও ছিল সেখানে৷ অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তির একটা অংশ দেখানো হয়েছে আজ৷ তবে সারা বিশ্বের নজর ছিল প্যারেডে উপস্থিত উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী নেতা কিম জং উনের দিকে৷ কারণ তাঁর সম্পর্কে এখনো বিশ্ববাসীর তেমন কিছু জানা নেই৷ এমনকি তাঁর বয়স কত সেটাও৷ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছি এবারের প্যারেডে৷ যেটা আগে কখনো করা হয়নি৷ তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাইরের বিশ্বের কাছে উনকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এবার গনমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷

কে এই কিম জং উন

Nordkorea Militärparade Panzer
প্যারেডে অংশ নেয়া যুদ্ধবাহনছবি: AP

গতমাসের শেষ সপ্তাহের আগে পর্যন্ত কেউ তাঁর নাম জানতো না৷ কিন্তু এখন তিনি বিবেচিত হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী নেতা হিসেবে৷ এর কারণ হঠাৎ করেই তাঁকে সেনাবাহিনীর চার তারকা জেনারেল বানানো৷ এরপর থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের ধারণা হতে থাকে, যে তাঁকেই বুঝি পরবর্তী নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে উত্তর কোরিয়া৷ তাই আলোচনা শুরু হয় কে এই উন? পরে জানা গেল তিনি হচ্ছেন বর্তমান নেতা কিম জং ইলের সবচেয়ে ছোট ছেলে৷ একটা সময় লেখাপড়া করেছেন সুইজারল্যান্ডের একটি স্কুলে৷ এরপর উত্তর কোরিয়াতেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ করেছেন৷

কেমন হতে পারেন উন

আজকের আগে কিম জং উনের কেবল দু তিনটি ছবিই পাওয়া গিয়েছিল৷ আর ইউরোপে লেখাপড়া করায় তিনি পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত৷ শুধুমাত্র এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হয়তো উন তাঁর বাবার পথে নাও চলতে পারেন৷ গরিব অথচ পরমাণূ অস্ত্রে সমৃদ্ধ উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে জানতে সবসময়ই আগ্রহী পশ্চিমা বিশ্ব৷ কিন্তু দেশটাই এমন যে একমাত্র চীন ছাড়া বাইরের বিশ্বের সঙ্গে তারা কোনো যোগাযোগ রাখতে আগ্রহী নয়৷ তাই উন দায়িত্ব নিলে সেই অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এদিকে সুইজারল্যান্ডে স্কুলে পড়ার সময় উনের সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিলেন বলে দাবি করেছেন জোয়াও মিকেলো নামের এক ব্যক্তি৷ সিএনএনকে তিনি বলছেন, সেসময় উন ছিলেন লাজুক ও ভদ্র একটা ছেলে৷ আর বাস্কেটবল খেলতে খুব পছন্দ করতেন তিনি৷ সেই উন তাঁর বাবার মত হবে এটা মনে করেননা মিকেলো৷ তবে তিনি এও বলেছেন, সেসব ছিল প্রায় ১০ বছর আগের কথা৷ এই দীর্ঘ সময়ে উনের মধ্যে পরিবর্তন আসতেও পারে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম