1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার সময় উগান্ডায় বোমা হামলা, নিহত ৭৪

১২ জুলাই ২০১০

আফ্রিকার দেশ উগান্ডা৷ আর তার রাজধানী কাম্পালা৷ গতরাতে সেখানকার একটি রেস্তোরাঁ আর একটি ক্লাবে বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে মেতেছিলেন অনেকেই৷ আর তখনই সেখানে ফাটে দু’টি বোমা৷

https://p.dw.com/p/OGiv
কী দোষ ছিল এঁদের?ছবি: AP

উগান্ডার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জেমস কাকোজা বলছেন, হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭৪৷ এছাড়া আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷

কিন্তু আনন্দের দিনে কেন এমন হামলা? ধারণা করা হচ্ছে, যারা হামলা চালিয়েছে তাদের লক্ষ্যই ছিল বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু৷ উগান্ডার পুলিশ প্রধান কালে কায়িহুরা বলছেন, সোমালিয়ার জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব এর পেছনে থাকতে পারে৷ কারণ মাত্র গত সপ্তাহেই তারা সোমালিয়ায় নিয়োজিত আফ্রিকান ইউনিয়ন বা এইউ-এর শান্তিরক্ষা মিশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল৷ আল কায়েদার সঙ্গে জড়িত এই শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর অভিযোগ, সোমালিয়ায় অরাজক পরিস্থিতির জন্য এইউ মিশনই দায়ী৷ আর এই মিশনে সবার আগে যে দেশ থেকে সেনারা যোগ দিয়েছিল সেটি হলো উগান্ডা৷ এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বুরুন্ডির সৈন্যরা৷

তার মানে সোমালিয়ায় শান্তি আনতে গিয়েই প্রাণ দিতে হলো উগান্ডার নিরীহ মানুষগুলোকে? এখন পর্যন্ত অন্তত তাই মনে হচ্ছে৷ তবে এরপরও উগান্ডা সোমালিয়া থেকে মিশনের সদস্যদের প্রত্যাহার করবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে৷

উল্লেখ্য, এইউ মিশনের ওপর সোমালিয়ার ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর রাগ শুরু থেকেই৷ তাইতো তারা মাঝে মধ্যেই হামলা চালায় তাদের ওপর৷ এর মধ্যে গত সপ্তাহে আরও দুই হাজার সেনা বাড়ানোর কথা বলে এইউ৷ এর প্রতিক্রিয়ায় আলোচনায় বসেন দু'টি ইসলামি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা৷ সেখানে ঠিক হয় তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ৷

এসমস্ত খবরই ইঙ্গিত দিচ্ছে, হয়তো সোমালিয়ার জঙ্গিরাই এই বোমা হামলার জন্য দায়ী৷ যদিও কেউ এখনো দায়িত্ব স্বীকার করেনি৷ তবে খোদ সোমালিয়ার সরকারও এই বিষয়ে একেবারেই নিশ্চিত, বলে জানিয়েছে৷ কিন্তু যার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর সেই শাবাবের এক কমান্ডার এই হামলার ঘটনার প্রশংসা করলেও এর পেছনে তারা জড়িত কি না সে ব্যাপারে তিনি জানেননা বলে জানিয়েছেন৷

এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব৷ এর মধ্যে রয়েছেন এইউ, উগান্ডা, সোমালিয়া, জার্মানি ও ফিফা’র শীর্ষনেতৃবৃন্দ৷ প্রতিক্রিয়া এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকেও৷ কারণ নিহতদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন৷ আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ওবামা বলেন, যদি উগান্ডার সরকার চায় তাহলে যে কোন ধরণের সহায়তা করতে রাজি আছে যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক