বিশ্বকাপের পর স্পেনের ভবিষ্যত
২৩ জুন ২০১৪বিশ্বের সংগীত ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেই ব্যান্ড ভেঙে যাওয়ার পর লেনন গেয়েছিলেন তাঁর অমর সেই গান – গড৷ গানের একটা কথা ছিল এরকম – ‘‘দ্য ড্রিম ইজ ওভার, হোয়াট আই ক্যান সে? দ্য ড্রিম ইজ ওভার, ইয়েসটারডে৷''
২০১০ সালের বিশ্বকাপ আর ২০০৮ এবং ২০১২ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে স্পেনের যে ফুটবলাররা তাঁরা এবার প্রথম পর্ব থেকেই বিদায়৷ সুতরাং বিটলস ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সংগীতপ্রেমীদের স্বপ্ন ভাঙার যে সম্পর্ক, তার সঙ্গে, স্পেনের বিদায় ও ফুটবলপ্রেমীদের স্বপ্ন ভাঙাকে তো এক করাই যায়৷ তাই না?
তবে ফুটবল ভক্তরা বোধ হয় একটু আশান্বিত হতে পারেন এটা জেনে যে, স্পেনে বেড়ে উঠছে একদল তরুণ ফুটবলার যাঁরা আবারও স্পেনকে হয়ত অনেক উঁচুতে নিয়ে যেতে পারবেন৷ যেমন গোলরক্ষক হিসাবে ইকার কাসিয়াসের স্থান নিতে তৈরি ডাভিড ডে খেয়া৷ এছাড়া সাবির মতো খেলা সামর্থ্য আছে কোকে কিংবা টিয়াগো আলকানতারার৷
এদিকে, স্ট্রাইকার হিসেবে ২৫ বছর বয়সি দিয়েগো কস্তা বিশ্বকাপে কিছু করে দেখাতে না পারলেও ভবিষ্যতে যে তাঁর জ্বলে ওঠার সামর্থ্য আছে সেটা মনে করছেন অনেকেই৷ এছাড়া কস্তার মতো মানেরই আরও দু'জন হলেন ফার্নান্ডো লোরেন্তো এবং আলভারো নেগ্রেডো৷ রয়েছেন আলভারো মোরাতা ও খেসের মতো ফুটবলারও৷ মিডফিল্ডে প্রয়োজনে ফুঁসে ওঠার ক্ষমতা রাখেন সার্জিও বুস্কেটস, আর ফরোয়ার্ডে হুয়ান মাতা ও পেদ্রো৷
এতসব তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভবিষ্যতে কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কে থাকবেন কিনা, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়৷ বস্কে নিজেও এখনো সেটা ভেবে দেখেননি৷ তবে স্পেনের শীর্ষ ক্রীড়া দৈনিক ‘মার্কা' মনে করছে বস্কে হয়ত থেকেই যাবেন৷ সেক্ষেত্রে তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য হবে ২০১৬ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, যার বাছাই পর্ব শুরু হবে সেপ্টেম্বরে৷ সেখানে স্পেনের প্রথম প্রতিপক্ষ মেসিডোনিয়া৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এপি)