বিশ্বকাপে রাশিয়ার শহর
রাশিয়ার মোট ১১টি শহরে হবে বিশ্বকাপ৷ শহরগুলোর রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য৷ বিস্তারিত দেখা যাক ছবিঘরে...
মস্কো
প্রায় দেড় কোটি লোকের শহর মস্কো রাশিয়া তো বটেই, ইউরোপের সবচেয়ে বড় শহর৷ শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত ভবন সম্ভবত ক্রেমলিন প্রাসাদ, ভ্লাদিমির পুটিন যেখানে থাকেন৷ শহরে রয়েছে ৬০০ গির্জা, রোমের পরে কনস্টান্টিনোপলকে বলা হতো ‘দ্বিতীয় রোম’৷ আর মস্কোকে বলা হয় ‘তৃতীয় রোম’৷ মস্কো একমাত্র বিশ্বকাপের স্থান, যেখানে দুটি স্টেডিয়াম রয়েছে৷
সেন্ট পিটার্সবুর্গ
পশ্চিম রাশিয়ার মহানগরী সেন্ট পিটার্সবুর্গকে ‘পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর শহর’ বলে বর্ণনা করেছেন নোবেল বিজয়ী কবি ইয়োসেফ আলেকজান্দ্রভিচ ব্রদস্কি৷ ১৮শ শতাব্দীতে বিখ্যাত জার পিটার দ্য গ্রেট এ শহরে ‘পশ্চিমের দ্বার’ নামের একটি বিখ্যাত তোরণ তৈরি করেন৷
ইয়েকাটেরিনবুর্গ
ইয়েকাটেরিনবুর্গে রয়েছে ‘ক্যাথেড্রাল অফ দ্য ব্লাড’, যা ‘ব্লাড চার্চ’ নামেও পরিচিত৷ ২০০২ সালে এই গির্জা তৈরি হয়৷ ১৯১৮ সালে অক্টোবর বিপ্লবের এক বছর পর যেখানে তৎকালীন জারের পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল, এ গির্জাটি সেখানেই তৈরি হয়েছে৷
রস্তভ
রস্তভ শহরটি রাশিয়ার অন্যতম প্রাচীন শহর৷ রৌপ্যনির্মিত গির্জার গম্বুজগুলো এ শহরের আকর্ষণ৷ এছাড়া এখানে রয়েছে মধ্যযুগের কিছু নিদর্শন৷ এটিকে গড়েই তোলা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে৷
কাজান
কাজান প্রাচীন শহর৷ রাশিয়ার ভোলগা ও কাজানকা নদীর সংযোগস্থলের এ শহরটি তাতারস্তান প্রদেশের রাজধানী৷ ২০০৫ সালে এ শহরের হাজার বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হয়৷
ভলগোগ্রাদ
এই ভলগোগ্রাদের আগের নাম ছিল স্টালিনগ্রাদ৷ ভোলগা নদীর তীরে এ শহরটিতে ১৯১৮ সাল থেকে ২০ সালের বুর্জোয়া দল ‘হোয়াইট মুভমেন্টের’ বিরুদ্ধে দুর্বার লড়াইয়ে বিপ্লবী বলশেভিকদের নেতৃত্ব দিয়ে জয়ী করেছিলেন স্টালিন৷ তাছাড়া এ শহরটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের সাথে প্রবল লড়াইয়ের সাক্ষী হিসেবেও ইতিহাসে বহুল পরিচিত৷
কলিনিনগ্রাদ
রাশিয়ার সর্বপশ্চিমের শহরগুলোর একটি৷ এ শহরটি পুরনো জার্মান নাগরিকদের বসতিতে গড়ে উঠেছিল ১২ শতকের দিকে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শহরটি মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দা হয় পালিয়ে যান কিংবা তাঁদেরকে জোর করে বাধ্য করা হয় শহর ত্যাগ করতে৷
নিঝনি নভগোরদ
ম্যাক্সিম গোর্কির নাম শুনেছেন? হ্যাঁ, তিনি এ শহরেরই ছেলে৷ তাঁর নাম অনুযায়ীই এর নাম এক সময় ‘গোর্কি’ ছিল৷ এটি রাশিয়ার সংস্কৃতি, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞানের শহর হিসেবে পরিচিত৷
সারানস্ক
রাশিয়ার প্রদেশ মর্দোভিয়ার একটি শহর৷ ১৬৪১ সালে দুর্গ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই শহরের গোড়াপত্তন হয়৷ সারানকা নদীর তীরে একসময়ের সামরিক শহর হিসেবে পরিচিত সারানস্ক বর্তমানে রাশিয়া খেলার শহর হিসেবে পরিচিত৷
সামারা
এই শহরটিতে রয়েছে ‘মনুমেন্ট অফ গ্লোরি’৷ এটি ভোলগা নদীর তীরে রাশিয়ার ষষ্ঠ বৃহত্তম শহর৷
সোচি
সোচিকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় রিসোর্ট শহর বলা হয়৷ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার জন্য কৃষ্ণসাগর তীরের এ শহরটি জনপ্রিয়৷ প্রতিবছর এতে ৪০ লাখ পর্যটক ঘুরতে যান৷ এমনকি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের কাছেও অবকাশ যাপনের জন্য এটি প্রিয় শহর৷