বিশ্বকাপের এই পুরস্কারগুলোর খবর জানেন?
গোল্ডেন বুট, গোল্ডেন বল বা গোল্ডেন গ্লাভস– এই পুরস্কারগুলো যে কতটা অর্থ বহন করে, তা বলাই বাহুল্য৷ কিন্তু ডয়চে ভেলে রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য কয়েকটি বিকল্প পুরস্কার কল্পনা করেছে৷ চলুন, ছবিঘরে দেখে নিই৷
সেরা একক নৈপুণ্য
গ্রুপ ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে পর্তুগাল৷ তিনটি গোলই করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ তাঁর চমৎকার এই হ্যাটট্রিকসহ সেদিনের ম্যাচের অসাধারণ নৈপুণ্যই এই বিশ্বকাপের সেরা একক নৈপুণ্য৷
সবচেয়ে বেশি বিনোদন দেয়া দল
কয়েকজন এলিট খেলোয়াড় দিয়ে সাজানো দল ছিল বেলজিয়ামের৷ আক্রমণাত্মক ফুটবলের অসাধারণ প্রদর্শন তাদের এ বিশ্বকাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দলে পরিণত করেছে৷ বিশেষ করে এডেন হ্যাজার্ড ও ডে ব্রয়নে তাঁদের নৈপুণ্য দিয়ে মাতিয়েছেন রাশিয়ার ভেন্যুগুলো৷ হ্যাজার্ডের ৪০টি সফল ড্রিবল এ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ৷ আর ডে ব্রয়নের ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ পাস এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ৷
সবচেয়ে দৃঢ়চরিত্র খেলোয়াড়
ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার মারিও মানসুকিচের হৃদয় যেন তাঁর জার্সিতেই৷ ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে তিনি সারা মাঠে দৌঁড়েছেন৷ কি মিডফিল্ড, কি ডিফেন্স কিংবা ফরোয়ার্ড সব জায়গাতেই সব উজাড় করে দিয়েছেন৷ প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন৷ আবার নিজেও পড়ে গিয়েছেন৷ কিন্তু বারবারই উঠে দাঁড়িয়েছেন৷ বিশেষ করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর জয়সূচক গোলটি বাঁচিয়ে দিয়েছে দলকে৷ ফাইনালে আত্মঘাতী গোল করে দলকে বিপদে ফেলে আবার পরে শোধও করেছেন৷
সবচেয়ে বিব্রতকর মুহূর্ত
ইরানের মিলাদ মোহাম্মাদি পাবেন এই পুরস্কার৷ স্পেনের বিপক্ষে ফ্রন্ট ফ্লিপ কায়দায় থ্রো-ইন (ডিগবাজি দিয়ে) করতে গিয়ে তা করতে ব্যর্থ হন তিনি৷ এরপর অবশ্য আবার থ্রো-ইনটি করেন তিনি, তবে স্বাভাবিকভাবে৷
বিশ্বকাপের ইন্টারনেট তারকা
নেইমারের গড়াগড়ি নিয়েই বোধ হয় এবার ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি ট্রল হয়েছে৷ তাই তিনিই আমাদের এ বিশ্বকাপের ইন্টারনেট তারকা৷
অতি অর্জন যাঁদের
স্বাগতিক রাশিয়া এতটা ভালো খেলবে তা কেউ আশা করেননি বিশ্বকাপের আগে৷ তাই তারাই এ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ৷ বিশ্বকাপে সবচেয়ে নিম্ন .ব্যাংকিংয়ের দেশ হয়েও যেভাবে উঠে এসেছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত, তা স্বাভাবিক ছিল না৷ দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেনকে হারানোর পর ক্রোয়েশিয়াকেও টাইব্রেকার পর্যন্ত আটকে রেখেছিল তারা৷
অর্জন নেই, শুধুই বিসর্জন যাঁদের
বিশ্বকাপে আগেরবারের চ্যাম্পিয়নরা গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি, এমনটি প্রথমবার হয়নি৷ শেষ পাঁচবারের চারবারই এমন ঘটনা ঘটেছে৷ কিন্তু ২০১৪ সালের কনফেডারেশন্স কাপ জেতা এই দলটির কাছ থেকে এমন আশা করেনি কেউ৷ এমনকি তারা এমন দু’টি দলের কাছে হেরেছে (মেক্সিকো ও দক্ষিণ কোরিয়া), যাদের কাছে আগে কখনোই কোনো বড় টুর্নামেন্টে হারেনি৷
সবচেয়ে দুর্ভাগা দল
সেনেগালের গ্রুপটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ৷ গ্রুপ এইচ-এ তাদের সঙ্গে ছিল কলম্বিয়া, জাপান ও পোল্যান্ড৷ গ্রুপের তিন ম্যাচ শেষে জাপানের সঙ্গে পয়েন্ট, গোল ব্যবধান ও গোলসংখ্যায় সমান ছিল তারা৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিল তাদের যে, দলটির খেলোয়াড়রা দু’টি হলুদ কার্ড বেশি পেয়েছিলেন৷ দুর্ভাগা দল!
সাধারণের পছন্দ
৪০ লাখের কিছু বেশি জনসংখ্যা ক্রোয়েশিয়ার৷ কিন্তু দলের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা যেন উপচে পড়ছিল৷ শুধু তাঁরা নন, ফুটবলপ্রেমী সাধারণ দর্শক সমর্থকরাও তাঁদের ভালোবেসেছেন৷ ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে গেলেও মন জয় করেছেন সারাবিশ্বের৷
সবচেয়ে দাম বেড়েছে যাঁর
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফ্রান্সের বাঁজামাঁ পাভার্ড বেঞ্চেই বেশি থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছিল৷ কিন্তু ২২ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডারকে দিদিয়ে দেশঁ ছয়বার স্টার্টিং ইলেভেনে সুযোগ দিয়েছেন৷ পাভার্ড কোচের ভরসার প্রতিদানও দিয়েছেন৷ এমনকি গোলও করেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে৷ শোনা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে ৫ মিলিয়ন ইউরোতে স্টুটগার্টে যোগ দেয়া এই খেলোয়াড়ের বিষয়ে এখন বড় বড় ক্লাবগুলো আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ সেখানে আছে বায়ার্ন মিউনিখও৷