বিশ্বজুড়ে আরজি কর নিয়ে বিক্ষোভ

জার্মানি-সহ ইউরোপের নানা দেশের অনেক শহরে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, তাইওয়ান, সাউথ আফ্রিকার শহরগুলিতে। কোনো বিক্ষোভের আকার ছিল বেশ বড়- কোথাও ছোট। কিন্তু আরজি কর কাণ্ড যে প্রবাসী ভারতীয়দের কতটা নাড়িয়ে দিয়েছে, তা আবার সামনে এলো।

চেক প্রজাতন্দ্রের প্রাগে রবীন্দ্রনাথের মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান ভারতীয়রা। প্রচুর ভারতীয় সেখানে সমবেত হন। তাদের হাতে ছিল পোস্টার। তারা ন্যায়ের দাবি করেছেন।

লন্ডনেও প্রচুর মানুষ রোববার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ দেখান। তারাও ন্যায়ের দাবি করেছেন। তাদের অনেকের হাতে ছিল পোস্টার। কয়েকজনের হাতে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। আরজি করের ঘটনা তাদের যে কতটা নাড়িয়ে দিয়েছে, তা তাদের প্রতিবাদ থেকেই স্পষ্ট।

জার্মানির কোলন শহরের বিখ্যাত ক্যাথিড্রালের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেখানেও বেশ কিছু মানুষ এসেছিলেন প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবি জানাতে। চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন এবং তার পরবর্তী ঘটনা সকলকে এতটাই নাড়া দিয়েছে যে, বিদেশে থাকলেও তারা নিয়মিত প্রতিবাদ করছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় রোববার বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। তারা বাংলায় পোস্টার লিখে এনেছিলেন। সেখানে লিখেছিলেন, 'গর্জে উঠুক প্রতিবাদ/চুপ করে থাকা অপরাধ'। এর মধ্যে দিয়েই তাদের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন তারা।

মেলবোর্নের বিক্ষোভে প্রচুর নারী ও কিশোরী ছিলেন। তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল, তারা ন্যায়ের দাবিতে, অবিলম্বে অপরাধীর শাস্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

ভারতীয়রা অস্ট্রেলিয়ার এই শহরগুলির নাম জানেন ক্রিকেট ও পর্যটনের সূত্রে। পারথের সেই শহরগুলিতেও আরজি করের ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। ফলে ভারতীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি পরিচিত শহর অ্যাডিলেডেও আরজি কর নিয়ে শোনা গেল সেই স্লোগান, ‘‘ইউ ওয়ান্ট জাস্টিস।’’ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন শহরের মানুষ একই দাবিতে সোচ্চার হলেন।

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে রোববার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

তাইওয়ানের তাইপেই। সেখানেও রোববার বিক্ষোভ হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ দেখিয়েছেন ভারতীয়রা।

সাউথ আফ্রিকার অন্যতম প্রধান শহর জোহানেসবার্গেও আরজি কর নিয়ে ন্যায়ের দাবি উঠলো। এই ঐতিহাসিক শহর অনেক আন্দোলনের সাক্ষী। সেখানকার ভারতীয় ও অন্যরা আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন।

.নরওয়ের সবচেয়ে বড় শহর ও রাজধানী অসলোতেও প্রবাসী ভারতীয়রা প্রতিবাদ করলেন আরজি কর নিয়ে। তাদের প্রায় প্রত্যেকের হাতে ছিল পোস্টার। আরজি কর নিয়ে ন্যায়ের দাবি করা হয়েছে তাতে। দাবি করা হচ্ছে, দ্রুত অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার।

জার্মানির একাধিক শহরে রোববার বিক্ষোভ হয়। তার মধ্যে ফ্রাঙ্কফুর্টও ছিল। সেখানে প্রবাসী ভারতীয়রা রোববার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ব্রাসেলস আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহর। সেখানেও প্রতিবাদ জানালেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর জুরিখেও আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ হলো। রোববার এই প্রতিবাদ দেখালেন প্রচুর নারী।