1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাইরাস সতর্কতা

৯ জুলাই ২০১২

কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য যেন এক অপয়া সময় হতে যাচ্ছে আজ সোমবার গ্রিনউইচ মিনটাইম ৪ টা ১ মিনিট৷ তবে সেই মুহূর্তেও যেন কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা বিপদে না পড়েন সেজন্য সোচ্চার ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো৷

https://p.dw.com/p/15Tiz
Ein Geo-Wissenschaftler betrachtet am Donnerstag (20.11.2008) in der Bundesanstalt für Geowissenschaften und Rohstoffe (BGR) in Hannover die Ergebnisse einer Digitalen Spectrometer- Mikrosonden-Analyse, die die verschiedenen Elemente und deren Konzentration zeigt. Während der Hunger nach Energie und Rohstoffen weltweit wächst, schrumpfen die Ressourcen und Klimawandel sowie Umweltzerstörung bedrohen die Lebensgrundlagen. Mehr denn je sind Forschung und innovative Technik gefragt, um schlummernde Reserven aufzuspüren und Alternativen auf ihre Tauglichkeit hin zu prüfen. Foto: Peter Steffen dpa/lni (zu lni 0058) +++(c) dpa - Report+++
ছবি: picture-alliance/dpa

২০১২ সালের ৯ই জুলাই৷ মানে আজকের দিনটি নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বিশ্বের হাজার হাজার কম্পিউটার ব্যবহারকারী৷ কারণ আর কিছু নয়, ডিএনএস চেঞ্জার নামক ভাইরাসের আতঙ্ক৷ ২০০৭ সালে আবিষ্কৃত হয় এই ভাইরাস৷ সাইবার অপরাধী চক্র ওয়েব পরিদর্শনকারীদের ডোমেন নেম ব্যবস্থার তথ্য জেনে নিয়ে ইন্টারনেট প্রবাহ ভিন্নমুখী করে ফেলার উদ্দেশ্যে তৈরি করেছিল এই ডিএনএস চেঞ্জার৷

হ্যাকাররা একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন ছেড়ে প্রায় পাঁচ লাখ ৭০ হাজার কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে৷ গত নভেম্বরে ছয় জন এস্তোনিয়ান এবং একজন রুশ নাগরিককে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা - নাসা'সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে এই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল৷

গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই, এস্তোনিয়ার পুলিশ দপ্তর এবং আরো কিছু দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই সাইবার অপরাধী চক্রের ফাঁদ বিকল করে একটি শক্ত প্রতিরক্ষা তৈরি করেছিল৷ এই ভাইরাসটি এতোবেশি ওয়েবসাইটের তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছিল যে, শেষ পর্যন্ত আদালত থেকে বিশেষ আদেশে এফবিআই'কে সার্ভার বদলানোর কাজ করার অনুমতি প্রদান করা হয়৷ এমনকি এই উদ্যোগের ফলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত কম্পিউটার থেকেও ইন্টারনেট প্রবাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছিল৷

কিন্তু সেই বিশেষ ব্যবস্থার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ সোমবার৷ ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেই ভাইরাসের প্রকোপে পড়া কম্পিউটারগুলোর জন্য আজ ‘ইন্টারনেট প্রলয়ের দিবস'৷ কারণ এখনও যাদের কম্পিউটারে ঐ ভাইরাস রয়েছে, সেগুলোতে সোমবার ইন্টারনেট চালু হবে না৷ সেক্ষেত্রে তারা ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে টেলিফোন করে ভাইরাসটি দূর করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিতে পারে এবং পুনরায় ইন্টারনেট চালু করতে পারে৷

বিশেষজ্ঞদের তৈরি একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, ১১ই জুন পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি কম্পিউটার এই ভাইরাসে আক্রান্ত৷ তবে এফবিআই-এর সর্বশেষ তথ্য সূত্রে, এই সংখ্যা দুই লাখ ৭৭ হাজারে নেমে এসেছে৷ এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে - প্রায় ৬৪ হাজার কম্পিউটার৷ ক্যানাডিয়ান ইন্টারনেট রেজিস্ট্রেশন অথরিটি - সিআইআরএ বলছে, সেদেশে প্রথমদিকে প্রায় ২৫ হাজার কম্পিউটার এই ভাইরাসের ছোবলে পড়ে৷ তবে এখন সাত হাজার কম্পিউটারে ভাইরাসটি বিদ্যমান বলে জানান সংস্থাটির মুখপাত্র মার্ক বুয়েল৷

এছাড়া ইটালি, জার্মানি, ভারত, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়াসহ প্রায় ডজনখানিক দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত কম্পিউটার রয়েছে বলে ঐ পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে৷ তবে এসব কম্পিউটারের মধ্যে বর্তমানে কতগুলো সচল রয়েছে তা নির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি বিশেষজ্ঞের দল৷

অবশ্য এই মহাবিপদের মধ্যে ভাইরাসের শিকার কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অসহায়ভাবে ছেড়ে দিচ্ছে না বিশ্বের ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো৷ এফবিআই, ফেসবুক, গুগল, ইন্টারনেট দাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পূর্ণ সতর্ক ও প্রতিকারের ব্যাপারে বেশ কিছু পথ বাতলে দিয়েছে৷ নিজেদের কম্পিউটার নিয়ে যারা ভয়ে আছেন, তারা সহজেই ডিএনএস চেঞ্জার ওয়ার্কিং গ্রুপের ওয়েবসাইট কিংবা অন্যান্য নিরপত্তা সংস্থার সহায়তায় দ্রুত স্বস্ব কম্পিউটারের অবস্থা যাচাই করে নিতে পারেন৷

ক্যানাডার সিআইআরএ জানিয়েছে, তারা পিএসসি এবং সিআরটিসি'র সহায়তায় একটি অনলাইন সাইট তৈরি করেছে, যেখানে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা তাদের পিসি'তে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব যাচাই করতে পারে৷

এএইচ / এআই (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য