বিশ্বের কয়েকটি বিখ্যাত কেবল-কার
পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কেবল-কারের ব্যবস্থা আছে৷ তবে গণপরিবহন হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হচ্ছে৷
অস্ট্রেলিয়া
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ব্লু মাউন্টেন পর্বতমালায় অবস্থিত কেবল-কার থেকে ‘থ্রি সিস্টার্স’ নামে পাহাড়ের এক অদ্ভুত বিন্যাস দেখা যায়৷ আদিবাসীদের প্রতি সম্মান জানাতে ঐসব পাহাড়ে ওঠায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ ফলে কেবল-কারই ভরসা৷ প্রচলিত লোককাহিনি অনুসারে, তিন বোনকে দানবের হাত থেকে বাঁচাতে তাদের বাবা নাকি তাদের পাথরে পরিণত করেছেন!
মালয়েশিয়া
লংকাউয়ি দ্বীপে স্থাপিত এই কেবল-কারে করে ওরিয়েন্টাল ভিলেজ থেকে মাউন্ট ম্যাট চিনচাং-এ যাওয়া যায়৷ যাওয়ার সময় নীচে তাকালে রেইন ফরেস্ট দেখা যায়৷
হংকং
পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ ‘এনগং পিং ৩৬০’ নামের এই কেবল-কার৷ লান্তাও দ্বীপে অবস্থিত এই বাহনে চড়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সময় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিও চোখে পড়বে৷
চীন
হিউনান প্রদেশে অবস্থিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ‘ঝ্যাংজিয়াজি ন্যাশনাল ফরেস্ট পার্ক’-এ গেলে ছবির মতো এমন দৃশ্য চোখে পড়বে৷ অবশ্য যাঁরা মেঘে ঢাকা এমন কিছু না দেখে আশেপাশের দৃশ্যগুলো আরও ভালোভাবে দেখতে চান তাঁদের এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে সেখানে যেতে হবে৷
স্পেন
১৯২৯ সালের ‘বার্সেলোনা ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন’ উপলক্ষ্যে এই কেবল-কার নির্মিত হয়েছিল৷ এখনও সেটি আছে৷ ঐ কারে চড়ে বার্সেলোনা শহর ও সাগরের অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়৷
ফ্রান্স
দক্ষিণ-পূর্বের গ্রেনবেল শহরের এই কেবল-কারের কেবিনগুলো দেখতে বেশ মজার৷ ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দুবার কেবিনের মডেল পরিবর্তন করা হয়েছে৷ বুদবুদের মতো এই কেবিনগুলো ১৯৭৬ সাল থেকে আছে৷ এই কারে করে শহর থেকে উঁচুতে একটি দুর্গে যাওয়া যায়৷
সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের প্রথম আবর্তিত কেবল-কার, অর্থাৎ চলার সময় এটি ধীরে ধীরে ঘুরতে থাকে৷ ফলে যাত্রীরা চারদিকের দৃশ্যই দেখতে পান৷ ‘টিটলিস রোটএয়ার’ নামের এই কেবল-কারের পাহাড়ে থাকা স্টেশনটির অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,০২০ মিটার উঁচুতে৷
জার্মানি
কোবলেনৎস শহরের যেখানে রাইন আর মোজেল নদী একসঙ্গে মিশেছে, সেখানে একটি কেবল-কার আছে৷ এতে করে ‘ডয়চেস এক’ থেকে এরেনব্রাইটশ্টাইন দুর্গে যাওয়া যায়৷
ক্যানাডা/অ্যামেরিকা
নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘ওয়ার্লপুল এরো কার’-এ করে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাড়ি দেয়া যায়৷
বলিভিয়া
রাজধানী লাপাজ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৬০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত৷ তার চেয়েও চারশ’ মিটার বেশি উঁচুতে অবস্থিত এল আল্টো স্টেশন৷ সেখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চাকরির প্রয়োজনে লাপাজে যান৷ তাঁদের যাতায়াত সহজ করতে কেবল কারের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে৷ ২০১৯ সাল নাগাদ তা শেষ হবে৷ ফলে তখন এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেবল কার নেটওয়ার্ক৷