বিশ্বের দীর্ঘতম পায়ে হাঁটা ঝোলানো সেতু
জার্মানির হার্ৎস অঞ্চলে বিশ্বের দীর্ঘতম পায়ে হাঁটা ঝোলানো সেতুর উদ্বোধন হয়েছে৷ রাপবোডে বাঁধের এপাশ থেকে ওপাশ অবধি ৪৫০ মিটারের বেশি দূরত্ব পার হয়ে চলে গেছে এই ঝুলন্ত সেতু৷
ব্রিজের নাম টাইটান-আরটি
ব্রিজের নাম রাখা হয়েছে টাইটান-আরটি৷ মধ্য জার্মানির ওবারহার্ৎস আম ব্রকেন শহরটির কাছে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়৷
সোচিকে ছাড়িয়ে গেল টাইটান-আরটি
এ পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম পায়ে হাঁটা ঝোলানো সেতু ছিল কৃষ্ণসাগরের উপকূলে রাশিয়ার সোচি সৈকতাবাসের স্কাইপার্ক ব্রিজ, দৈর্ঘ্য ৪৩৯ মিটার৷ রাপবোডে বাঁধের ঝোলানো সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৫৮ মিটার৷
নদীর জল থেকে ১০০ মিটার উঁচুতে
রাপবোডে বাঁধ হল জার্মানির সর্বোচ্চ বাঁধ৷ যে নদীর উপর এই বাঁধ, সেই রাপবোডে নদীর ১০০ মিটার ওপরে ঝুলছে এই সেতু৷ এমনভাবে তৈরি যে দর্শকদের ওজন আর নড়াচড়ার সঙ্গে দুলে দুলে ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম৷
ঝুলন্ত সেতুর নোঙর
মোটা তারের সেতুটি রাপবোডে ভ্যালির দু’পাশের স্লেট পাথরে নোঙর করা আছে, যেখানে সেতুর টান পড়ছে ৯৪৭ টন৷ প্রায় পাঁচ বছর লেগেছে সেতুটির পরিকল্পনা ও নির্মাণকার্যে৷
হার্ৎস-অ্যাড্রেনালিন...
নামের একটি কোম্পানি এই ঝুলন্ত সেতু চালাচ্ছে৷ এক মিটার বিশ সেন্টিমিটার চওড়া সেতুটি পার হতে বয়স্কদের দিতে হবে মাথাপিছু ছয় ইউরো (৬ দশমিক ৫৮ ডলার)৷ দৃশ্যত ব্রিজের তলায় ৭৫ মিটার বাঙ্গি জাম্পিং-এর ব্যবস্থা রাখা হবে৷ একটি নতুন অতিথি কেন্দ্রও তৈরি করা হচ্ছে৷
দশ মাসে তৈরি
অস্ট্রিয়ার এইচটিবি কোম্পানি মাত্র দশ মাসের মধ্যে ব্রিজটি তৈরি করেছে৷ খরচ কতো পড়েছে, হার্ৎস-অ্যাড্রেনালিন কোম্পানি তা জানায়নি৷
ঝোলানো সেতুর রোমাঞ্চ
বিশ্বের বহু দেশে ও বহু স্থানে পায়ে হাঁটা ঝোলানো সেতু আছে৷ এ ধরনের সেতুর মজাটা সম্ভবত খানিকটা তার ঝুঁকির জন্য – যদিও দু’পাশে তারের দেওয়াল ছবিতে চোখে না পড়লেও, হৃৎকম্পন কমানোর পক্ষে যথেষ্ট৷ পায়ে হেঁটে যাওয়া, অথচ যেন পাখিদের মতো উড়ে নদী-খাদ-খন্দের এপাশ থেকে ওপাশ অবধি অবলীলাক্রমে পার হয়ে গেলেন আপনি!