বিশ্বের বৃহত্তম শিশুবলির ইতিহাস
পেরুর শহর হুয়ানচাকোতে একদল প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার করেছেন বিশ্বের বৃহত্তম শিশুবলির ইতিহাস৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
২২৭টি শব
বুধবার হুয়ানচাকোতে ২২৭টি শিশুর কঙ্কাল আবিষ্কার করেছেন এক দল প্রত্নতাত্ত্বিক৷ সেখানে চিমু গোষ্ঠীর শিশুবলির ইতিহাসের সূত্র খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা বলে সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন গবেষক ফেরেন কাস্তিয়ো৷
কারা এই চিমু গোষ্ঠী?
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, ৯০০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে পেরুর এই অঞ্চলে থাকত চিমু গোষ্ঠীর মানুষ৷ তাদের সংস্কৃতিতে ছিল গণহারে শিশুবলির রীতি৷
শুধু শিশুবলি?
প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন, এই গোষ্ঠীর ইতিহাসে রয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের বলি দেবার রীতিও৷ আবহাওয়ার দেবতাকে তুষ্ট করতেই এই গণবলির আয়োজন করা হতো বলে অনুমান করছেন তাঁরা৷
বৈশিষ্ট্য কী?
ইতিহাস বলছে, চিমু গোষ্ঠীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল রোদে পোড়ানো ইট দিয়ে সেই সময়ের সবচেয়ে বড় শহর গড়ে তোলা৷ এছাড়াও, শিল্পচর্চা ও সেচ ব্যবস্থা্র দিক দিয়ে অনেকটাই উন্নত ছিল এই গোষ্ঠী বলে জানা গেছে৷
বলির ইতিহাস
১৯৯৭ সালে ‘পুন্টা লোবোস কাণ্ড’র খোঁজ পান প্রত্নতাত্ত্বিকেরা৷ সেই বছরই খুঁজে পাওয়া যায় ২০০টি শব৷ জানা যায়, ‘পুন্টা লোবোস কাণ্ড’র অংশ হিসাবে ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দে ২০০ জন মৎস্যজীবীকে বলি দেওয়া হয়েছিল৷
চিমুর অবসান
গবেষকেরা বলছেন, ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ ইনকা সম্প্রদায়ের দাপটে শেষ হয়ে যায় চিমুদের রাজত্ব৷ তার ঠিক ৫০ বছরের মধ্যেই স্পেনীয়দের দখলে চলে আসে সেকালের চিমু অঞ্চল৷