বিশ্বের সবচেয়ে ‘সঠিক’ ঘড়ি?
২৬ আগস্ট ২০১৩ঘড়ির নাম ‘ইটারবিউম ল্যাটিস অ্যাটোমিক ক্লক'৷ কঠিন এই নামের প্রথম শব্দ ইটারবিউম হচ্ছে একটি রাসায়নিক পদার্থ যার পারমাণবিক সংখ্যা ৭০ এবং এটা সংক্ষেপে লেখা হয় ‘ওয়াইবি' দিয়ে৷ ইউরেনিয়ামকে যেমন লেখা হয় ‘ইউ' দিয়ে, আর ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা হলো ৯২৷
ঘড়ির নামের দ্বিতীয় শব্দ ‘ল্যাটিস' পদার্থ বিজ্ঞানের একটি মডেলের নাম৷ আর নামের শেষ দুটি শব্দ ‘অ্যাটোমিক ক্লক' বলে দিচ্ছে যে, ঘড়িটি আমার আপনার হাতে থাকা সাধারণ কোনো ঘড়ি নয়, কিংবা নয় বাড়ির দেয়ালে ঝুলে থাকা কোনো ঘড়ি৷ এটি হচ্ছে সেই ঘড়ি যা দিয়ে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস এবং নেভিগেশনের মতো বড় বড় কাজ করা হয়৷
এ ধরণের অ্যাটোমিক ঘড়ির আবিষ্কার গত শতকের পঞ্চাশের দশক থেকেই শুরু হয়েছে৷ তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই রয়েছে এ ধরণের বেশ কিছু ঘড়ি৷ যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সময় পরিমাপ করা হচ্ছে যে ঘড়ি দিয়ে তার নাম ‘এনআইএসটি-এফ১'৷ এনআইএসটি মানে হচ্ছে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনলজি' যেটা আসলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা৷ তাঁরাই নতুন এই ঘড়িটির উদ্ভাবক৷
এনআইএসটি-র বিজ্ঞানীরা এখন যে ঘড়িটি দিয়ে সময় পরিমাপ করছেন অর্থাৎ এনআইএসটি-এফ১, সেটি হচ্ছে সিজিয়াম ক্লক৷ সিজিয়াম হলো একটি রাসায়নিক উপাদান যার পারমাণবিক সংখ্যা ৫৫, আর এটা সংক্ষেপে লেখা হয় ‘সিএস' দিয়ে৷
এনআইএসটি-এফ১-র চেয়ে নতুন উদ্ভাবিত ঘড়িটি অনেক অনেক নিখুঁত, বলে দাবি উদ্ভাবকদের৷ এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স' জার্নালে৷
বিশ্বের সবচেয়ে ‘নিখুঁত' ঘড়ির ছবি ও এ সংক্রান্ত মার্কিন উদ্ভাবক সংস্থার বিবৃতি দেখতে চলে যান এই লিংকে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)