বিশ্বের সেরা ১০ আইকনিক কনসার্ট হল

১৯৬৩ সালে যখন বার্লিন ফিলহার্মোনি উদ্বোধন হয় তখন কিছুটা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ যদিও হান্স শারোউনের অসাধারণ নকশাটি ১৯৫৬ সালে কর্তৃপক্ষের মন জিতে নেয়, ভবন নির্মাণে দেরির ফলে অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়৷ হলের মাঝে অর্কেস্ট্রাকে প্রথম বসানো হয় এখানে৷ এর ফলে মিউজিক কনসার্ট হলের আধুনিক স্থাপত্যের যাত্রা শুরু হয়৷

অ্যাভেরি ফিশার হল নামে আগে পরিচিত ছিল এই হলটি৷ এটি লিংকন সেন্টারের অংশ এবং ১৯৬২ সালে খুলবার পর এটিই হয়ে ওঠে নিউ ইয়র্ক ফিলহার্মোনিকের কেন্দ্র৷ কিন্তু শুরুর পর থেকেই এর স্থাপত্য নিয়ে নানা আপত্তি ও অসন্তোষ দেখা দিতে থাকে৷ বারবার সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাওয়া ভবনটি সর্বশেষ ২০২২ সালের অক্টোবরে খোলে৷ মিডিয়া মুঘল ডেভিড গেফেনের নামে এখন এটি ডেভিড গেফেন হল৷

২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার এই আইকনিক অপেরা হাউসটির ৫০ বছর হতে চললো৷ এই নতুন ধরনের নকশা দিয়ে ড্যানিশ আর্কিটেক্ট ইয়র্ন উৎসন একটা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছেন৷

ফ্র্যাঙ্ক ও গেহরি এই হলের নকশা তৈরি করেছেন৷ ডিজনি হলটি তৈরিতে দেরি হওয়ায় সমালোচনার মুখেও পড়েন নির্মাতারা৷ কিন্তু ২০০৩ সালের অক্টোবরে শুরু হবার পর গত বিশ বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই হলটি৷

ভ্যালেন্সিয়ার এই হল বানিয়ে নিজেকে অমর করেছেন স্প্যানিশ আর্কিটেক্ট সান্তিয়াগো কালাতরাভা৷ ৪০ হাজার বর্গমিটারের এই ভবিষ্যৎমুখী হলটি উদ্বোধন হয় ২০০৫ সালের অক্টোবরে৷ এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় অপেরা হাউস৷

২০১০ সালের মে মাসে গুয়াংজু অপেরা হাউসের উদ্বোধন হয়৷ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এই স্থাপনাটি বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় পার্ল নদীর বুকে দুইটি পাথর বসানো৷ ইরাকি-ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট জাহা হাদিদ এর নকশা তৈরি করেন৷

আইসল্যান্ডের রেইকইয়াভিকে হারপা কনসার্ট হল প্রথমে একটি ব্যক্তিগত প্রকল্প ছিল৷ ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার পর এটি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়৷ ড্যানিশ-আইসল্যান্ডিক স্থাপত্যশিল্পী ওলাফুর এলিয়াসন এর নকশা তৈরি করেন৷

ব্রাজিলিয়ান সিম্ফোনি অর্কেস্ট্রার কেন্দ্র হল রিও ডি জেনেইরোর সিটি অফ আর্টস হলটি৷ পুরো দক্ষিণ অ্যামেরিকায় এটি সবচেয়ে আধুনিক কনসার্ট হল৷ ২০১৩ সালে এর যাত্রা শুরু হয়৷

প্রিৎসকার পুরস্কার জেতা আর্কিটেক্ট জ্যঁ নুভেল প্যারিসের এই আইকনিক ভবনটির নকশা করেছেন৷ তবে যখন প্রকল্পটি ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়, তখন তিনি দূরেই ছিলেন৷ এটি নির্মাণে দুই বছর সময় বেশি লাগে এবং খরচও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়৷

জার্মানির হামবুর্গে এলবহার্মোনির ভিউইং প্লাটফর্মে যাবার জন্য দেশ বিদেশ থেকে অতিথিরা আসেন৷ সে হিসেবে সিসটাইন চ্যাপেলের পরপরই এর জনপ্রিয়তা৷