1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিষধর সাপ পোষার মাশুল ১ লাখ ইউরো

৯ এপ্রিল ২০১০

একটি বিষধর গোখরো পুষতে গিয়ে ১ লাখ ইউরো অর্থদণ্ডের মুখে পড়েছেন ১৯ বছরের এক তরুণ৷ অবশ্য মালিকের ঘর থেকে পালিয়ে পুরো অ্যাপার্টমেন্টের মানুষদের আতঙ্কে ঘরছাড়া করে যে লঙ্কাকাণ্ড করেছে ওই গোখরো তার খেসারত তো দিতেই হবে৷

https://p.dw.com/p/MrYQ
বিষধর সাপের বিষ নামাচ্ছেন এক পেশাদার সাপ গবেষক৷ছবি: Cinnamon Nippard

গত ১৮ই মার্চ জার্মানির মুলহাইমের বিশাল এক অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের চিলেকোঠায় ওই তরুণের ঘর থেকে উধাও হয়ে যায় গোখরোটা৷ আকারে একটা পেন্সিলের চেয়ে বেশি মোটা আর খুব একটা লম্বা না হলেও এর যে বিষ রয়েছে তাতে এর দংশনে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যে কারও মৃত্যু অবধারিত৷ ফলে এই গোখরোর থলে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়৷

দমকল কর্মীরা এসে ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেন ওই অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দাদের৷ ২২ দিন ধরে খালি পড়ে থাকে ওই বসতি৷ আশপাশের সব রাস্তাঘাটও বন্ধ করে দেয় পুলিশ৷ বিষধর গোখরোর সন্ধানে চলতে থাকে তল্লাশি অভিযান৷ একে একে পুরো ভবনের সব ফ্ল্যাটের সব ঘরদোরে তল্লাশি চালিয়ে একটা একটা করে সিলগালা করা হয় সবগুলো ঘর, টয়লেট, ভাঁড়ার ঘর সবকিছু৷

কিন্তু, দীর্ঘ এই সার্বক্ষণিক তল্লাশিতেও ধরা দেয়নি ওই বিষধর গোখরো৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার একটি আঠালো টেপের সঙ্গে মৃত অবস্থায় গোখরাটিকে উদ্ধার করা হয় ওই ভবন থেকেই৷ এই গোখরোর মৃত্যুতে স্বস্তি নেমেছে এসেছে এলাকাটিতে৷ বাড়িতে ফিরেছেন অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা৷

এই বিষধরের আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দাদের ঘরছাড়া হওয়া থেকে শুরু করে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল তল্লাশি অভিযানে খরচ হয়েছে বিপুল অর্থ৷ দমকল বিভাগের প্রতি ঘণ্টার তল্লাশির ব্যয়ই ৮৫০ ইউরো৷ শহর কর্তৃপক্ষকে গুণতে হয়েছে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এবং অ্যাপার্টমেন্টটি সিলগালা করা খরচও৷ ফলে এই অর্থ আদায়ে পৌর কর্তৃপক্ষ এখন গোখরোটির মালিক তরুণকে জরিমানা করতে পারেন প্রায় ১ লাখ ইউরো৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়