1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার প্রযুক্তি

আলেক্সান্ড্রা হারডর্ফ/এসবি১৮ জানুয়ারি ২০১৪

জার্মান বিজ্ঞানীরা বিস্ফোরক আগাম শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বেশ অগ্রসর হচ্ছেন৷ এই প্রকল্প সফল হলে সন্ত্রাসবাদীদের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়বে৷ সাধারণ মানুষের জীবন আরও নিরাপদ হয়ে উঠবে৷

https://p.dw.com/p/1AseV
ছবি: Madaree Tohlala/AFP/Getty Images

বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার প্রযুক্তি | অন্বেষণ

অপরাধ রাষ্ট্রের সীমানা মানে না৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের খোঁজে জার্মান পুলিশও সক্রিয় রয়েছে৷ অপরাধের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাঁরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করেন৷

হাতে তৈরি বোমার বিপদ

গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদীদের বোমা হামলার সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ ঘটনাস্থলে হাতে তৈরি বোমা তদন্তকারীদের জন্য বড় এক ঝুঁকি৷ বিপদ এড়াতে বিস্ফোরকের উপাদান সম্পর্কে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করতে হয়৷ বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে তা জানার চেষ্টা করা হয়৷ বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ডিয়র্ক ব়্যোসেলিং বলেন, ‘‘চোখে দেখে কোনো বড় তফাত বোঝা যাবে না৷ দুই রকমের সাদা গুঁড়া তাদের মৌলিক অবস্থায় দেখতে হবে৷ অর্থাৎ পুলিশ বা গোয়েন্দারা কিছু খুঁজে পেলে চিন্তায় পড়ে যান৷ সামনে কী রয়েছে তা বুঝতে পারেন না৷ তখন যন্ত্র দিয়ে উপকরণ চেনা গেলে সুবিধা হয়৷''

তবে সেই যন্ত্রের অনেক রকমের বিস্ফোরক চেনার ক্ষমতা থাকতে হবে৷ জার্মানির তদন্তকারীরা এ কাজে বিজ্ঞানীদের সাহায্য চেয়েছেন৷ কারণ বিস্ফোরকের মধ্যে নিত্য নতুন সংমিশ্রণ পাওয়া যায়৷ ব়্যোসেলিং বলেন, ‘‘সম্প্রতি জার্মানির ফেডারেল পুলিশের হয়ে সাধারণ বিস্ফোরকের ক্ষমতা জানতে পরীক্ষার কাজ দেয়া হয়েছিল৷ ঘটনাস্থলে এমন বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াডের যন্ত্র নিয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত, সেটা জানাও ছিল লক্ষ্য৷''

Bombenräumung Nepal
বোমা নিস্ক্রিয় করার চেষ্টাছবি: Prakash Mathema/AFP/Getty Images

অপরাধীর পদচিহ্ন

বিস্ফোরকের উপাদান বিশ্লেষণ করে অপরাধ চক্রের হদিশও পাওয়া সম্ভব৷ কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে, তা জানা থাকলে তবেই সুপরিকল্পিতভাবে তার খোঁজ করা যায়, হামলা প্রতিহত করা যায়৷ ব়্যোসেলিং বলেন, ‘‘সব বিস্ফোরকই নির্দিষ্ট বিপদ ডেকে আনে৷ সেটা শনাক্ত করাই হলো সেই বিপদ বোঝার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ৷ অর্থাৎ আমাদের কাছে ল্যাবে এমন যন্ত্র রয়েছে, যা কোনো উপাদানকে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করতে পারে৷''

সেইসঙ্গে এটাও বুঝতে হবে, কোনো উপাদানের ধ্বংসের ক্ষমতা কী৷ তবে নতুন ও আরও ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরক তৈরির প্রচেষ্টা আজ আর শুধু বিজ্ঞানীদের আওতায় পড়ে না৷

অপরাধীদের কার্যকলাপ

অপরাধীরাও গোপনে তাদের গবেষণাগারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের কীর্তিকলাপের হদিশ পেতে বিজ্ঞানীরা নিকাশি ব্যবস্থায় নজর রাখতে চান৷ ফ্রাউনহোফার ইন্সটিটিউট-এর মোরিৎস হাইল বলেন, ‘‘এম্ফ্যাসিস নামের ইউ-প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষা চালানো হচ্ছে৷ বে-আইনি বোমা কারখানার হদিশ পাওয়াই প্রকল্পের উদ্দেশ্য৷ এর পেছনে মৌলিক ভাবনা হলো, এত বড় এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব নয়৷''

মোরিৎস হাইল তাই বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে সেন্সর-এর এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ পয়ঃপ্রণালীতে যদি বিস্ফোরকের নমুনা পাওয়া যায়, সেটা কোনো বে-আইনি ঘাঁটির অস্তিত্বের লক্ষণ৷ বাতাস ও মাটি থেকেও তদন্তকারীরা বিশ্লেষণের উপাদান পেতে পারেন৷

সন্দেহজনক পদার্থ পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থা সতর্ক করে দেবে৷ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের কাজে নেমে পড়তে পারবে৷ ধাপে ধাপে তারা বিস্ফোরক তৈরির ল্যাব পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবে৷ মোরিৎস হাইল বলেন, ‘‘লক্ষ্য হলো, উপাদানগুলি নির্ভরযোগ্য ও শনাক্ত করার যোগ্য করে তোলা, যাতে নিরাপত্তা আরও বেড়ে যায়৷''

এই প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ তবে গবেষণার লক্ষ্য খুবই স্পষ্ট৷ হামলার আগেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করে দিতে চান বিজ্ঞানীরা৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷