বুদাপেস্টের নামকরা বুলেভার্ড
২৬ মে ২০১৭বিশ্বাস করা শক্ত যে, এরকম একটি শান্তির নীড় বুদাপেস্টের বৃহত্তম বুলেভার্ডটির ঠিক পাশে৷ এই ফ্রানৎস লিস্ট চত্বরে হাঙ্গেরির মানুষ তাঁদের প্রখ্যাততম সংগীতস্রষ্টার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ সংগীতের ছাত্র দমনকোশ চোব্বাই প্রতিদিন এখান দিয়ে যান৷
সংগীতের ছাত্র দমনকোশ চোব্বাই বললেন, ‘‘মূর্তিটি দিয়ে বোঝানো হয়েছে যে, লিস্টের পিয়ানোবাদক হবার জন্যই জন্ম হয়েছিল – অতিকায় আঙুল আর বিরাট একটি হাত৷’’
ফ্রানৎস লিস্ট চত্বরের পাশেই ফ্রানৎস লিস্ট সংগীত অ্যাকাডেমি, যার ছাত্রসংখ্যা ৯০০ – হাঙ্গেরির বৃহত্তম সংগীত মহাবিদ্যালয় এই ফ্রানৎস লিস্ট অ্যাকাডেমি৷ অ্যাকাডেমিটি তৈরি হয় লিস্টের মৃত্যুর পরে৷ অ্যাকাডেমির ১৯০৭ সালে তৈরি কনসার্ট হলটি দেখবার মতো৷ চোব্বাই জানালেন, ‘‘এটি হলো হাঙ্গেরির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগীত প্রতিষ্ঠান, ফ্রানৎস লিস্ট স্বয়ং যার প্রতিষ্ঠাতা৷ প্রায় সব প্রজন্মের হাঙ্গেরীয় সংগীতশিল্পীরা এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷’’
প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা অন্দ্রাশি উট বুলেভার্ডটি ২০০২ সাল যাবৎ ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অঙ্গ৷ ইউরোপের অন্যান্য বড় বুলেভার্ডের মতো এখানেও যেমন গাড়ি চলে, তেমন মানুষজন বেড়াতে আসেন৷
বুদাপেস্টের বৃহত্তম গির্জা সেন্ট স্টিফেন্স বাসিলিকার দক্ষিণে শুরু হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে চলে গেছে অন্দ্রাশি উট৷ হাঙ্গেরির রাজধানীর হৃৎপিণ্ড এখানেই৷
ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নব্য রেনেসাঁস শৈলীতে তৈরি হয় অন্দ্রাশি উট, প্যারিসের শঁজেলিজের অনুকরণে৷
বুলেভার্ডটি শেষ হয় বুদাপেস্টের বৃহত্তম চত্বরগুলির মধ্যে একটিতে – যার নাম হলো বীরদের চত্বর৷
কিবা দিন কিবা রাত, অন্দ্রাশি উট-এর টান এড়ানো পর্যটকদের পক্ষে অসম্ভব৷
হল্ম ভেবার/এসি