বুন্ডেসলিগার বিশেষত্ব – খেলোয়াড়দের উল্কি
৫ আগস্ট ২০১১বিশেষ করে কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত: নাম হয়তো টোমাস কি লুসিয়ান, তার জন্মের তারিখ, কায়দা করে আকাশের তারা, মেঘ কি ফুলের অলঙ্করণ৷ নুরেমবার্গ ফুটবল ক্লাবের আলেক্সান্ডার এসভাইনের হাতে ‘‘ঠাকমা হিল্ডেগার্ড''-এর নাম ও জন্মের তারিখ উল্কি করা আছে৷ তবে প্লেয়াররা গোল করার আনন্দে কিংবা খেলার পর বিপক্ষের দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে জার্সিবদলের সময় যেসব উল্কি চোখে পড়ে সেগুলো, এক কথায়, চোখ ধাঁধাঁনো৷
কারো পিঠে ক্রুশবিদ্ধ যীশু, কারো বুকে বাবা-মা'য়ের ছবি, নানা রঙে উল্কি করা৷ শাল্কে'র জার্মেইন জোন্সের হাতে-বুকে-পিঠে আর তিলধারণের জায়গা নেই: হাতে তার ছেলেমেয়েদের নাম এবং ছবি৷ বুকে-পিঠে ড্র্যাগন থেকে শুরু করে ক্রুশ কিংবা প্রবাদবাক্য৷ কোলোনের ফাব্রিস এরেট'এর উল্কিতে পাবেন ‘‘ঈশ্বর ছাড়া আমাদের গতি নেই''৷ হামবুর্গের এলিয়েরো এলিয়া আর কোলোনের ক্রিস্টোফার শর্ক, দু'জনেরই মটো হল: ‘‘স্বপ্নটাকেই বাঁচো, স্বপ্ন দেখে জীবন কাটিও না৷'' হের্থা'র কোচ মার্কুস বাবেল তাঁর বাঁ হাতের পেশিতে নিজের সব ক'টি ক্লাবের নাম এবং শিল্ড উল্কি করিয়ে রেখেছেন: হের্থা, বায়ার্ন, স্টুটগার্ট, লিভারপুল, হামবুর্গ৷
কিন্তু উল্কি করানোর বিপদও আছে৷ হামবুর্গের এলিয়া গত বছরের মার্চ মাসে বুকে উল্কি করাতে গিয়ে ইনফেকশন বাঁধিয়ে বাকি মরশুমটা জলাঞ্জলি দেয়৷ ক্ষতিটা অবশ্য ক্লাবের৷ তাই এ'মরশুমে শুধু হামবুর্গই নয়, ভের্ডার ব্রেমেনও খেলোয়াড়দের উল্কি করানো নিষিদ্ধ করেছে - অন্তত বুন্ডেসলিগা চলাকালীন৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন