‘হাফ সেঞ্চুরি’
২০ আগস্ট ২০১২শুক্রবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর ভ্যার্ডার ব্রেমেনের মধ্যকার খেলা দিয়ে শুরু হবে এবারের আসর৷ শোনা যাচ্ছে, এবার মোট ৩০৫টি ম্যাচ খেলবে আঠারটি দল৷
বুন্ডেসলিগার প্রথম গোল করেছিলেন ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড় টিমো কনিৎসকা৷ অবশ্য সেটার কোনো ভিডিও ক্লিপ, এমনকি স্থির ছবিও নেই৷ অথচ এখন বুন্ডেসলিগার খেলা শুধু টেলিভিশনেই নয়, সরাসরি সম্প্রচারিত হয় অনলাইনে৷ ফলে দেখা যায় ডেস্কটপ, ল্যাপটপ থেকে শুরু করে হালের আইফোন আর আইপ্যাডে৷
বুন্ডেসলিগায় খেলেই বিশ্বের নামকরা খেলোয়াড় হয়েছেন ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ার, গের্ড ম্যুলার, ভল্ফগাং ওভারাথ এবং গ্যুন্থার নেটৎসার৷
বায়ার্ন মিউনিখ নিশ্চিতভাবেই বুন্ডেসলিগার সেরা দল৷ ৪৯ বারের মধ্যে ২১ বারই তারা শিরোপা জিতেছে৷ এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর বোরুসিয়া ম্যুনশেনগ্লাডবাখ৷ তারা লিগ জিতেছে পাঁচবার করে৷
১৯৬৯ সালে ন্যুরেমব্যার্গ একমাত্র দল হিসেবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হয়ে লিগ শুরু করে মরসুম শেষে রেলিগেটেড হয়ে গিয়েছিল৷ আর এর বিপরীত ঘটনার জন্ম দিয়েছিল কাইজার্সলাউটার্ন৷ ১৯৯৮ সালে তারা রেলিগেশন থেকে উত্তীর্ণ হয়ে লিগ শুরু করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসর শেষ করেছিল৷
এদিকে বুন্ডেসলিগার প্রথম চ্যাম্পিয়ন দল কোলন এ পর্যন্ত পাঁচবার রেলিগেটেড হয়েছে৷
গতবছর দর্শক বিবেচনায় বুন্ডেসলিগার ইউরোপীয় একটি রেকর্ড করে৷ আর সেটা হলো, প্রায় এক কোটি ৩৮ লক্ষ দর্শক স্টেডিয়ামে বসে লিগের খেলাগুলো দেখেছে৷ অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে মাঠে গড়ে দর্শক উপস্থিতি ছিল ৪৫ হাজারেরও বেশি৷
এই দীর্ঘ সময়ে ১৯৭০-৭১ মরসুমে ম্যাচ ফিক্সিং এর ঘটনা ঘটেছিল বুন্ডেসলিগায়৷ ফলে বিলেফেল্ড আর অফেনবাখ দলের বুন্ডেসলিগা খেলার লাইসেন্স কেড়ে নেয়া হয়েছিল৷ এছাড়া খেলোয়াড়, কোচ থেকে শুরু করে অনেক ক্লাবের কর্মকর্তাদের শাস্তিও দেয়া হয়েছিল৷
বায়ার্ন মিউনিখের গের্ড ম্যুলার ৩৬৫ গোল করে এখনো বুন্ডেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে আছেন৷ এক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন শালকের ক্লাউস ফিশার৷ তাঁর গোল সংখ্যা ২৬৮৷ ম্যুলারের এক মরসুমে করা ৪০ গোলের রেকর্ড এখনো কেউ ভাঙতে পারেনি৷
জেডএইচ / ডিজি (ডিপিএ)