বুয়েট সংকট
২১ জুলাই ২০১২বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকরা আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত গণপদত্যাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন৷ তবে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে৷ শনিবার শিক্ষক সমিতির জরুরী বৈঠক শেষে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আল্টিমেটামের ব্যাপারে বুয়েটের সাবেক উপাচার্য এবং গত ১৬ জুলাই মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা আমাদের চিঠি দিয়ে বলেছেন সরকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য৷ এ কারণে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত পদত্যাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে৷
শনিবার বুয়েট উপাচার্য ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে গণপদত্যাগ কর্মসূচি স্থগিত করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ড. মুজিবুর রহমান৷ তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক এবং পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির গণপদত্যাগের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচজন বিশিষ্ট বুয়েট অ্যালমনাই-সাবেক উপাচার্যের অনুরোধে রোববারের গণপদত্যাগের কর্মসূচি স্থগিত করা হলো৷
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসিনি৷ এটাই আমাদের মূল দাবি৷ যেহেতু সরকার বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে, তাই আমরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছি৷ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপাচার্য অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘটসহ অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে৷
তবে বুয়েটের উপ-উপাচার্য ড. হবিবুর রহমান আশা করেন, কারো পদত্যাগ ছাড়াই সৃষ্ট সমস্যার সমাধান হবে৷
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষকরা গণপদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে ফেলেছেন৷ এখন আর তার পক্ষে কিছুই করার নেই৷ তিনি বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করার মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যেই তারা গণপদত্যাগের ঘোষণা দেন৷ ফলে তিনি যেভাবে কাজ করার চিন্তা করছিলেন তা আর সম্ভব হবে না৷
প্রসঙ্গত, বুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে গত ৭ এপ্রিল থেকে শিক্ষক সমিতি কর্মবিরতি শুরু করে৷ লাগাতার ২৮ দিন কর্মবিরতির পর ৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকেরা ৫ মে থেকে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেন৷ গত ৭ জুলাই থেকে শিক্ষকরা আবারও প্রতীকী কর্মবিরতি শুরু করেন৷ ১৪ জুলাই তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম