বেকার থেকে সফল ব্যবসায়ী
২৫ মে ২০১৬পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের জোয়ারদহ গ্রামের আবদুল লতিফের জীবনকাহিনি শুনলে সবাই অনুপ্রাণিত হবেন৷ এক তরুণ স্নাতক পাশ করেই বিয়ে করলেন৷ তা অবশ্য অনেকেই করেন৷ কিন্তু তরুণটি ‘বেকার' হলে দাম্পত্যজীবন অনেক ক্ষেত্রেই সুখের হয়না৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে সেদিনের বেকার তরুণ আব্দুল লতিফের দুর্ভোগে ভরা অতীতের কথা৷
তাঁর দাম্পত্যজীবনের শুরুটাও সুখের হতে দেয়নি বেকারত্ব৷ নানা গঞ্জনায় অতিষ্ঠ স্ত্রী-ও তখন চরম হতাশ৷ আব্দুল লতিফের তখন সংসার টেকানোই দায়৷ তবুও হতাশায় ডোবেননি৷ ঢাকায় গিয়ে চাকরি নিলেন গার্মেন্টসে৷ কিন্তু অল্প কিছুদিনেই বুঝলেন, দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও যেখানে মোটামুটি সচ্ছল জীবনের নিশ্চয়তা মেলে না, সেখানে লেগে থাকার মানে নেই৷ চাকরি ছাড়লেন৷ ফিরলেন গ্রামে৷ এক বিঘা জমিতে কলা আর পেঁপে চাষে শুরু হলো স্বপ্নরচনা৷
স্নাতক পাশ যুবক চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরে হয়েছে কলা আর পেঁপেচাষি – গ্রামের মানুষ বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি৷ অনেকেই ‘শিক্ষিত চাষা' বলে কটাক্ষ করেছেন৷ কারো কথা গায়ে মাখেননি আব্দুল লতিফ৷ স্ত্রী তখন সাহস জুগিয়েছেন, বেকার স্বামীর স্বাবলম্বী হওয়ার লড়াইয়ে নিজেও শরিক হয়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে৷
লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৫ বছর আগে৷ ১৫ বছর পর পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের জোয়ারদহ গ্রাম, সেই গ্রাম ছাড়িয়ে অনেক দূরের মানুষও জানে, পরিবার এবং সমাজে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে আব্দুল মালেক নিঃসন্দেহে জয়ী৷
আজ তাঁর ১৫ বিঘা জমির গাছে গাছে স্বপ্নপূরণের আনন্দ হয়ে দোলে থোকা থোকা লিচু৷ লিচু বাগানে কাজ করে শ' দুয়েক মানুষ৷ আব্দুল লতিফ আজ এক সন্তানের গর্বিত পিতা৷ আত্মবিশ্বাস আর শ্রম দিয়ে কীভাবে তিনি বেকারত্বকে দূরে ঠেলে সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন সে কাহিনি শুনুন ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে৷
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷