বোরকার আগেই নিষিদ্ধ পাঁচটি পোশাক
বোরকা এবং বুর্কিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ পোশাক নিয়ে এমন বিতর্ক নতুন কিছু নয়৷ বিশ্বের নানা দেশে নানা সময় অন্য পোশাকও নিষিদ্ধ হয়েছে৷ এখনো হচ্ছে৷ ছবিঘরে আজ সেরকম পাঁচটি পোশাকের কথা৷
জার্মানির একাংশে নিষিদ্ধ ছিল জিন্স
জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের আগে পূর্ব জার্মানির অনেক নাইট ক্লাবের সামনে পরিষ্কার লেখা থাকতো, ‘‘জিন্স পরে প্রবেশ নিষেধ৷’’ জিন্স পরে গেলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বের করে দেয়া হতো৷ শেষে অবশ্য তরুণ প্রজন্মের চাহিদার কাছে তখনকার কমিউনিস্ট সরকার নতি স্বীকার করে৷ এরিক হ্যোনেকারের নির্দেশে নাকি এক সঙ্গে ১০ লক্ষ লেভি’স জিন্স আমদানি তরুণ প্রজন্মের চাহিদা মেটানো হয়েছিল৷
তুরস্কে নিষিদ্ধ ‘ফেজ’ টুপি
১৯২০-এর দশক পর্যন্ত তুরস্কে লাল রঙের টুপি ‘ফেজ’ খুব জনপ্রিয় ছিল৷ কিন্তু অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর, বিশেষ করে কামাল আতার্তুকের সময় সেই টুপি নিষিদ্ধ করা হয়৷ পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় বলেই নাকি এ ধরনের টুপি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷ নিষেধাজ্ঞা এখনো আছে, তবে তার কোনো কার্যকারিতা নেই৷
স্কটল্যান্ডে বহুকাল নিষিদ্ধ ছিল কিল্ট
স্কটল্যান্ডে ১৮ শতকের অনেকটা সময় এই ধরনের ঝালরওয়ালা ঘাগড়া নিষিদ্ধ ছিল৷ ঐতিহ্যবাহী এই পোশাক স্কটরা প্রতিরোধ এবং দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিধান করে – এমন এক ধারণা থেকেই ইংরেজরা এটি নিষিদ্ধ করেছিল৷ ১৭৪৭ সালের পর থেকে প্রায় ৩৭ বছর নিষিদ্ধ ছিল এই ঘাগড়া৷ এখন অবশ্য স্কটল্যান্ডের ঘরে ঘরে আছে এই পোশাক৷
রাশিয়ায় আন্ডারওয়্যার নিষিদ্ধ
দু’বছর ধরে রাশিয়ায় বিদেশ থেকে আন্ডারওয়্যার আমদানি প্রায় বন্ধ৷ সরকার আইন করে শতকরা ৬ ভাগেরও কম সূতি আছে, এমন সব আন্ডারওয়্যার নিষিদ্ধ করার ফলে বিদেশি আন্ডারওয়্যার বাজার থেকে প্রায় উধাও৷ সূতি ছাড়া অন্য সব আন্ডারওয়্যার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর – এই যুক্তি দেখিয়েই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷ নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত রাশিয়ার বাজার বিদেশি আন্ডারওয়্যারে সয়লাব ছিল৷
যুক্তরাষ্ট্রে ‘হুডি’...
এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব শহরেই এই ধরণের পোশাক, অর্থাৎ ‘হুডি’ কেনা যায়, পরাও যায়৷ তবে ১০ বছর আগে কিন্তু সে দেশের সব জায়গায় হুডি পরা যেতো না৷ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে হুডি এখনো নিষিদ্ধ৷