এখনো হামলার আতঙ্ক
১ অক্টোবর ২০১২শনিবার রাতে কক্সবাজরের রামুতে বৌদ্ধমন্দির এবং বসতি পুড়িয়ে দেয়ার পর, রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর৷ কিন্তু তারপরও হামলা থামেনি৷ হামলা হয়েছে পটিয়া, উখিয়া, নাইখংছড়ি এবং মহেষখালীর বৌদ্ধ মন্দিরে৷ তাই বৃহত্তর চট্টগ্রামের বৌদ্ধ বসতিতে এখনো আতঙ্ক কাটেনি, যা ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান রামুর বৌদ্ধ নেতা বঙ্কিম বড়ুয়া৷
পুলিশ এ পর্যন্ত রামু, উখিয়া, কক্সবাজার, টেকনাফ, পটিয়া এবং নাইখংছড়ি এলাকা থেকে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৬৩ জনকে আটক করেছে৷ চট্টগ্রামের পটিয়ার জাহাজ নির্মাণ কারখানা ওয়েস্টার্ন মেরিনের ২৬ জন শ্রমিককে ওই এলাকায় বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটকের পর ওয়েস্টার্ন মেরিনের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর দাবি করেছেন, হামলার সঙ্গে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী জড়িত৷
আর বিএনপি'র বারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হামলার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন৷
এদিকে আজ স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল আলম হানিফ রামুর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর এবং মন্দির পরিদর্শন করেছেন৷ এর আগে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজিবুল ইসলাম ওই এলাকায় গেলে ক্ষতিগ্রস্তরা তাঁকে ধাওয়া করেন৷ ক্ষতিগ্রস্ত সুনীল বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁরা জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মাহবুবুল আলম হানিফের কাছে বেশ কিছু দাবি দাওয়া তুলে ধরেন৷ এছাড়া মুখচেনা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা৷
বঙ্কিম বড়ুয়া জানান, সরকারের লোকজন নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো দুর্গতরা তেমন কোনো সহায়তা পাননি৷
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকা রওয়ানা হওয়ার আগে বলেছেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বৌদ্ধ বসতি আর মন্দিরে হামলার তদন্ত হচ্ছে৷ হামলাকারী কেউই রেহাই পাবেনা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ