1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যঙ্গচিত্রে জার্মান নির্বাচন

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে জার্মান নির্বাচন পর্যাপ্ত গুরুত্ব পেয়েছে৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জয়ের মতোই কট্টর দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের উত্থানও দেশ-বিদেশের কার্টুনিস্টদের নজর এড়ায়নি, যদিও ব্যঙ্গের সঙ্গে মিশেছে কিছুটা দুশ্চিন্তা৷

https://p.dw.com/p/2kmI3

‘জার্মানির জন্য বিকল্প’ বা এএফডি দলের নির্বাচনি সাফল্য যেমন জার্মানিতে, তেমনই বহির্বিশ্বে সকলকে সচকিত করেছে৷ এ ধরনের একটি কট্টর দক্ষিণপন্থি দল জার্মান সংসদে আসন গ্রহণ করতে চলেছে ঠিক তখন, যখন ম্যার্কেলের সিডিইউ-সিএসইউ দল বিপুল ভোট হারিয়ে মাত্র ৩৩ শতাংশে নেমে গেছে৷ জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যা একটি ভূমিকম্প বিশেষ, বহির্বিশ্বে তা স্বভাবতই চিন্তার বিষয়, কেননা, জাতীয়তাবাদ জার্মানির ইতিহাসে এক অন্য স্বাক্ষর রেখে গেছে৷ অধিকাংশ কার্টুনিস্টের কাছে জার্মান নির্বাচনের পর চ্যান্সেলর ম্যার্কেল একটি বারুদের পিপের উপর বসে আছেন, যে পিপেটির নাম হলো এএফডি৷

অস্ট্রেলিয়ার কার্টুনিস্ট ডেভিড রো ‘অস্ট্রেলিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল রিভিউ’-এর জন্য যে কার্টুনটি এঁকেছেন, তাতে ম্যার্কেল তাঁর ড্রেসিং টেবিলে বসে নিজের হিটলারি গোঁফ ঠিক করছেন! ইঙ্গিত: এএফডি-র সাফল্যের ফলে ম্যার্কেলকে এবার আরো বেশি দক্ষিণপন্থি হতে হবে

ভিয়েনার কার্টুনিস্ট মারিয়ান কামেনস্কি'র ব্যঙ্গচিত্রে জার্মান সংসদীয় নির্বাচনের তিন বিজয়ীকে দেখানো হয়েছে: মাঝে প্রথম স্থানে ম্যার্কেল, তাঁর ডানদিকে দ্বিতীয় স্থানে মার্টিন শুলৎস – কিন্তু তৃতীয় স্থানে একটি নাৎসি স্বস্তিকার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন এএফডি দলের আলেক্সান্ডার গাউলান্ড, যিনি সকলের মাথা ছাড়িয়ে গেছেন৷

প্রখ্যাত ইটালীয় ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী পাওলো লম্বার্দি-র কার্টুনে জার্মানির এক ইহুদি বাসিন্দা ‘জার্মানির জন্য বিকল্পের’ পতাকা দেখে ভাবছেন, ‘আমার বিকল্প হলো ইসরায়েল৷’

‘পেনিওয়াইজ’ নামের এক কার্টুনিস্টের কল্পনায় এএফডি হলো স্টিফেন কিং-এর ‘ইট' উপন্যাসের সেই অভিশপ্ত ভাঁড়...

জার্মান রূপকথার এক নামকরা চরিত্র সেই রাজকন্যা, সাতপুরুষ তোষকের নীচে একটি কড়াইশুঁটি থাকলেও যার ঘুম হতো না৷ জার্মানির রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী হাইকো সাকুরাই-এর কার্টুনে ম্যার্কেল হয়েছেন সেই দুলালি রাজকন্যা, আর কড়াইশুঁটি হয়েছে এএফডি নামের একটি বোমা!

গ্রিক ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী তাসোস আনাস্তাসিউ-এর কার্টুনে নির্বাচনের দিন খবর পড়ছেন এক নিউজরিডার, ‘‘জার্মান নির্বাচন হলো একই ধরণের রাজনীতির দু'টি দলের সংঘাত, যার শেষে ম্যার্কেল সব সময় জেতেন৷’’

ব্যাংককের এক কার্টুনিস্টের দৃষ্টিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যাতে উত্তর কোরিয়ায় কিছু একটা বাঁধিয়ে না ফেলেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই জার্মান নির্বাচন ও ম্যার্কেলের প্রয়োজন৷

সবশেষে কনস্টান্টিন সানাকাসের একটি কার্টুন, যিনি ‘ডিনো’ নামে আঁকেন৷ নির্বাচনে ম্যার্কেলের জয় হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁর পায়ের তলায় করাত দিয়ে নাৎসি স্বস্তিকা চিহ্নের আকারে জমি কেটে নেওয়া হচ্ছে৷

স্টুয়ার্ট ব্রাউন/এসি

প্রিয় পাঠক, কোন কার্টুনটি ভাল লাগলো জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...