ব্যবসা পেতে যেসব দেশ বেশি ঘুস দেয়
দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই প্রতিবছর দুর্নীতির সূচক প্রকাশ করে৷ মাঝেমধ্যে তারা ঘুস নিয়েও কাজ করে৷
চুক্তি পেতে
একটি দেশের বড় কোম্পানি অন্য দেশের রাস্তাঘাট, সেতুসহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের সুযোগ পেতে অনেকসময় ঘুসের সহায়তা নিয়ে থাকে৷ অর্থাৎ কাজের অর্ডার পেতে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে ঘুস দিয়ে থাকে৷ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে৷
ঘুস দাতা সূচক
হ্যাঁ, ১৯৯৯ সালে টিআই প্রথমবারের মতো এই শীর্ষক একটি সূচক প্রকাশ করে৷ এরপর মোট পাঁচবার সূচক প্রকাশ করেছে সংস্থাটি৷ সবশেষটি করেছে ২০১১ সালে৷ সেই সময় ২৮টি দেশকে সূচকের আওতায় নিয়ে আসা হয়৷ এই দেশগুলো বিশ্বব্যাপী পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগ লেনদেনের প্রায় ৮০ শতাংশের সঙ্গে জড়িত৷
রাশিয়া শীর্ষে
অর্থাৎ রুশ কোম্পানিগুলো অন্যদেশের কন্ট্রাক্ট পেতে সবচেয়ে বেশি ঘুসের আশ্রয় নিয়েছে৷ এরপর আছে চীন৷ ২০১০ সালে এই দু’টি দেশের কোম্পানিগুলো নিজ দেশের বাইরে ১২০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বিনিয়োগ করেছে৷
অন্যদিক দিয়ে শীর্ষে নেদারল্যান্ডস
ইউরোপের এই দেশের কোম্পানিগুলো অন্যদেশে কার্যাদেশ পেতে সবচেয়ে কম ঘুসের সহায়তা নিয়েছে৷ তারপর ক্রমান্বয়ে আছে সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম আর জার্মানি৷
নয়-এ ভারত
সবচেয়ে বেশি ঘুস দেয়া দেশের তালিকায় ভারত আছে নয় নম্বরে৷ এছাড়া ইন্দোনেশিয়া আছে চার আর সৌদি আরব সাত-এ৷
কোন খাতে বেশি ঘুস
ঘুস লেনদেন হয় এমন ১৯টি খাতেরও তালিকা করেছে টিআই৷ এতে দেখা যাচ্ছে, সরকারি কাজের চুক্তি পেতে সবচেয়ে বেশি ঘুস লেনদেন হয়৷ এরপরেই আছে নির্মাণকাজ, সেবা, রিয়েল স্টেট, তেল, গ্যাস, মাইনিং ইত্যাদি৷
ঘুসের নেতিবাচক দিক
টিআই বলছে, বিদেশি কোম্পানিগুলোর ঘুস দেয়ার বিষয়টি বিভিন্ন দেশের মানুষের ভালমন্দের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে৷ এতে করে কন্ট্রাক্ট দেয়ার বিষয়টি পক্ষপাতহীন হয় না, মৌলিক জনসেবার গুনগত মান কমে যায়, প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাত গড়ে ওঠার সুযোগ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়৷
৩০ দেশের উপর গবেষণা
বিদেশ বিনিয়োগ বেশি হয় এবং আমদানি বেশি করে এমন বড় ৩০টি দেশের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩,০১৬ জন কর্মকর্তার উপর জরিপ করে সূচকটি তৈরি করেছে টিআই৷