‘দুঃস্বপ্ন ভুলতেই হবে'
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪মাত্র দু'মাস আগের কথা: সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে ব্রাজিল বিদায় নিয়েছিল ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ থেকে৷ তারপর স্বভাবতই নবসূচনা এবং নবীনতর ফুটবল দর্শনের ডাক: যদিও দুঙ্গাকে কোচ হিসেবে ফিরিয়ে আনা তার সেরা পন্থা কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ দুঙ্গা যখন এর আগে ব্রাজিলের কোচ ছিলেন – ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল অবধি – তখন ব্রাজিল মোটামুটি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেছে, বলে অনেকের ধারণা৷
দুঙ্গা যে এবারও সম্মার্জনী হাতে ‘ছি ছি কেত্তা জঞ্জাল' গান গেয়ে পুরনো পাপীদের সকলকে ঝেঁটিয়ে বাদ দিয়েছেন, এমন নয়৷ তাঁর প্রথম স্কোয়াডে বিপর্যয় পীড়িত বিশ্বকাপ দলের ১১ জন খেলোয়াড় আছেন – এমনকি দুই ডিফেন্ডার দাভিদ লুইস এবং মার্সেলো পর্যন্ত, যাদের অক্ষমতাই নাকি জার্মানির কাছে গো-হারানোর কারণ ছিল৷ ইনজুরি পীড়িত হুল্ক-এর বিকল্প হিসেবে দুঙ্গা ডাক দিয়েছেন রবিনিও-কে, যিনি বহু বছর ধরে ফর্ম ফিরে পাবার প্রচেষ্টায় লিপ্ত৷ তবে দুঙ্গা যে দুই ‘মন্থর' ফরোয়ার্ড জো এবং ফ্রেডকে বাদ দিয়েছেন, তা-তে সমালোচকরা খুশি, যেমন তারা খুশি আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডে ফিলিপে কুটিনিও, রিকার্ডো গুলার্ত, এভারটন রিবেইরো এবং দিয়েগো চারদেল্লিকে দেখে৷
নতুন বা পুরনো প্লেয়ারদের প্রতি দুঙ্গার প্রথম ও প্রাথমিক বার্তা হলো: অতীতকে ভুলে যাও; অতীত নিয়ে অযথা মাথা ঘামিও না৷ নিজের খেলা খেলো; দেখাও যে, তোমরা জাতীয় দলের খেলোয়াড় হবার যোগ্য৷ তবে জার্মানির বিরুদ্ধে পরাজয়ের স্মৃতি অত সহজে মাথা থেকে বার করা সম্ভব নয় – ডাউনটাউন মায়ামির বিলাসবহুল ‘ব্রিকেল কি' হোটেলে বসেই রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে এ কথা বলেছেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার অস্কার৷
অপরদিকে বিপক্ষ হিসেবে কলম্বিয়াও ঠিক ফেলনা নয়৷ স্ট্রাইকার রাদামেল ফালকাও, যিনি ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ মিস করেন, তিনি এবার দলে ফিরেছেন – মাত্র গত সোমবার মোনাকো থেকে ম্যানইউ-তে ট্রান্সফার নেবার পর৷ আর ফালকাও যার জুটি হবেন, তিনি হলেন কলম্বিয়া তথা (হালে) রেয়াল মাদ্রিদের রাইজিং স্টার খামেস রদ্রিগেজ: ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা৷ মায়ামির সানলাইফ স্টেডিয়ামে তাঁকে দেখতেই ভিড় করে আসবেন শত শত কলম্বিয়ান ভক্ত৷
ওদিকে ফুটবল দুনিয়া দেখবে: ব্রাজিল নিরাময়ের পথে কত দূর...
এসি/ডিজি (রয়টার্স)