ব্রাসেলস সফরের সাত কারণ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ব্রাসেলস৷ তবে, বেলজিয়ামের এই রাজধানীর আরো অনেক কিছু দেয়ার আছে৷ সংস্কৃতি, বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন আর মনোরম প্রকৃতির মিলন ঘটেছে এই শহরে৷
গ্র্যান্ড প্লেস-এ ফুলের কার্পেট
ব্রাসেলসের কেন্দ্রীয় চত্বর আসলে শহরটির ইতিহাসের কেন্দ্র৷ প্রতি দুই বছর পরপর আগস্ট মাসে পাঁচ লাখ উজ্জ্বল ফুল দিয়ে শহরের কেন্দ্রটিতে ফুলের কার্পেট গড়ে তোলা হয়৷ পঞ্চদশ শতক এবং সপ্তদশ শতকের মাঝে কোনো এক সময়ে এই চত্বর তৈরি করা হয়েছিল৷
মানিক্যান পিজ
মানিক্যান পিজ হচ্ছে ব্রাসেলসের অনানুষ্ঠানিক মাসকট, যেটি আসলে শহরটির আত্ম-বিনয়ী কৌতুকরসবোধের বহিঃপ্রকাশ৷ একটি শিশুর বেসিনে প্রস্রাব করার আসল মূর্তিটি মাত্র ২৪ ইঞ্চি লম্বা এবং তামার তৈরি৷ মূর্তিটি মূলত নগ্ন হলেও প্রতি সপ্তাহে সেটিকে নানা ধরনের পোশাক পরানো হয়৷
‘দ্য আটোমিয়াম’
দেখতে অদ্ভূত এই ল্যান্ডমার্কটি শহরের বাইরের দিকে ১৯৫৮ সালে ‘ব্রাসেলস ওয়ার্ল্ড ফেয়ার’-এর জন্য তৈরি করা হয়েছিল৷ সেটাতে এখনো প্রদর্শনী কক্ষ এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে৷ আবহাওয়া ভালো থাকলে ল্যান্ডমার্কটি ঘিরে থাকা বাগান বিশ্রামের জন্য আদর্শ স্থান৷
‘দ্য রয়েল মিউজিয়ামস অফ ফাইন আর্টস’
ক্লাসিক্যাল পেইন্টিং প্রিয়দের জন্য আদর্শ স্থান ব্রাসেলস৷ ‘দ্য রয়েল মিউজিয়ামস অফ ফাইন আর্টস’ হচ্ছে মিউজিয়াম এবং গ্যালারিতে ভরপুর এক কমপ্লেক্স৷
হালকা নয়, সুস্বাদু
বেলজিয়ামের খাবার ঠিক হালকা নয়, তবে সুস্বাদু৷ দেশটির জাতীয় খাবার হচ্ছে আলু ভাজা, যা গরুর চর্বিতে ভাজি করা হয় এবং মেয়োনিজেসহ পরিবেশন করা হয়৷ তবে ব্রাসেলসে মিষ্টি খাবারও অনেক পাওয়া যায়৷ পুরনো শহরে অনেক ছোট ছোট দোকান পাবেন যেখানে চকলেট প্রলিন্স থেকে শুরু করে পছন্দমতো সস দেয়া ওয়াফলস, অর্থাৎ বিশেষ ধরণের কেক পাওয়া যাবে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আসলে কিভাবে কাজ করে?
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? ব্রাসেলসে আপনার সেই আগ্রহ মেটানোর সুযোগ আছে৷ চাইলেই ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট থেকে ঘুরে আসতে পারেন৷
বেলজিয়ান বিয়ার
বেলজিয়ামকে গর্বিত করে এরকম যা কিছু আছে, তার মধ্যে অন্যতম বিয়ার৷ সেখানকার কোনো এক পানশালার বাইরে বসে পরখ করতে পারেন বিয়ার৷ অনেক রকম বিয়ারের দেখা মিলবে সেখানে৷