ব্রাসেলস-কাণ্ডে ছ'জনকে আটক
২৫ মার্চ ২০১৬তাদের মধ্যে তিনজনকে দৃশ্যত ‘‘সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ের সামনে'' গ্রেপ্তার করা হয়, বলে জানিয়েছেন এক মুখপাত্র৷ আর একজনকে ধরা হয় শহরের উপকণ্ঠে শেট এলাকায়, বাকি দু'জনকে ব্রাসেলসের অন্যত্র গ্রেপ্তার করা হয়৷ গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি৷
মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসি-র খবর অনুযায়ী যে দুই ভাই ব্রাসেলসের বিমানবন্দর ও মেট্রো স্টেশনে আক্রমণ চালিয়েছে, তারা নাকি যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ডাটাবেসে অন্তর্ভুক্ত ছিল৷
ব্রাসেলস বিমানবন্দরের সিসিটিভি-তে তোলা ছবিতে ইব্রাহিম ও খালিদ এল বাকরাওয়ির সঙ্গে যে টুপি-পরা তৃতীয় ব্যক্তিকে দেখা গেছে, তার খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার ছ'জন গ্রেপ্তার হবার পর শুক্রবার আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বলে জানাচ্ছে সরকারি আরটিবিএফ সংস্থা – রয়টার্সের খবর৷ এছাড়া নাকি তদন্তকারীরা একজন নতুন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছেন, বলে জানিয়েছে বেলজিয়ামের ডে মর্গেন দৈনিক৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সিরীয়; তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে ২৮ বছর বয়সি নাইম আল-হামেদ হিসেবে৷ সে নাকি গত নভেম্বরের প্যারিস সন্ত্রাসের সঙ্গেও যুক্ত৷
অপরদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি মস্কো থেকে ফেরার পথে পাঁচ ঘণ্টার জন্য ব্রাসেলসে এসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বেলজিয়ামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য৷ যুগপৎ তিনি গত মঙ্গলবার ব্রাসেলসের সন্ত্রাসী আক্রমণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন৷ কেরির বিমান ব্রাসেলস বিমানবন্দরেই নামে৷ নামার পর কেরি তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন৷
ব্রাসেলসে বোমাবাজির পর জাতিসংঘের সিরিয়া সংক্রান্ত মধ্যস্থ স্তাফান দে মিস্তুরা বলেছিলেন যে, ‘‘সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে হলে, সিরিয়ায় একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বার করতে হবে''৷ দশ দিন আলাপ-আলোচনার পর জেনেভায় সিরিয়া শান্তি বৈঠক আবার স্থগিত রাখা হয়েছে – তবে ‘‘কোনো নাটক বা ওয়াকআউট ছাড়াই'', দে মিস্তুরা তা-তেই খুশি৷
এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)