1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনো ব্রেক্সিট নিয়ে বোঝাপড়ার আশা

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আইরিশ সীমান্ত নিয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য বোঝাপড়ায় আসতে পারলেন না৷ এদিকে তাঁর হাতে বিকল্প ও সময় কমে চলেছে৷ ফ্রান্স ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর বিপক্ষে রায় দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3Cynr
ব্রাসেলসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: picture-alliance/AP/F. Seco

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আবার লন্ডনে ফিরে গেছেন৷ সেই আলোচনায় চুক্তিসহ ব্রেক্সিটের ‘সদিচ্ছা' ছাড়া তিনি অবশ্য কিছুই আদায় করতে পারেননি৷ তবে দুই পক্ষ সংলাপ চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেছে৷ তার আওতায় আগামী সোমবার ব্রিটেনের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে স্ট্রাসবুর্গ শহরে ইইউ'র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন৷ চলতি মাসের শেষে প্রধানমন্ত্রীও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকারের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷

ইইউ নেতারা আবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ব্রেক্সিট চুক্তিতে কোনো রদবদল সম্ভব নয়৷ তবে দুই পক্ষের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে রাজনৈতিক ঘোষণাপত্রে আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ‘ব্যাকস্টপ' ব্যবস্থা নিয়ে আরো আশ্বাস দিতে প্রস্তুত ইইউ নেতারা৷ এমনকি গোটা ঘোষণাপত্রটিকে বিচ্ছিন্ন না রেখে মূল চুক্তির সঙ্গে ‘জুড়ে' দিয়ে সেটিকে আরো আইনসিদ্ধ করে তোলার প্রস্তাবের কথাও শোনা যাচ্ছে৷ তবে ব্রিটেনের সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তবেই সেই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করা হবে৷

ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক অবশ্য ব্রিটেনের সঙ্গে বোঝাপড়া সম্পর্কে তেমন আশাবাদী নয়৷ তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, অগ্রগতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ অচলাবস্থা কাটাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে কোনো নতুন ও স্পষ্ট প্রস্তাব দিতে পারেন নি বলেও শোনা যাচ্ছে৷ আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র অনুযায়ী টুস্ক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বিরোধী নেতা জেরেমি কর্বিনের প্রস্তাব খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, কর্বিন ব্রিটেনকে স্থায়ীভাবে শুল্ক ইউনিয়নে রাখার পক্ষপাতি৷ সে ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডের সীমান্তও উন্মুক্ত থাকতে পারে৷ টেরেসা মে অবশ্য এমন ব্যবস্থার ঘোর বিরোধী৷

ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থায় সাফল্যের অভাব সত্ত্বেও টেরেসা মে বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি ঠিক সময়ে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করবেন৷ অর্থাৎ, ২৯শে মার্চই ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করবে৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ৫০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে বোঝাপড়া কী করে সম্ভব হবে, সে বিষয়ে তিনি খোলসা করে কিছু বলতে পারেননি৷ তাছাড়া একেবারে নতুন কোনো প্রস্তাব সম্পর্কে ঐকমত্য সম্ভব হলেও আইন প্রণয়ন করে সংসদে তা অনুমোদন করানোর সময়ও নেই বললেই চলে৷

অচলাবস্থা কাটাতে ব্রিটেনে অনেক মহলে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে সমর্থন বাড়ছে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত তাতে রাজি হলেও ইইউর সব সদস্য দেশকে সম্মতি জানাতে হবে৷ ফ্রান্স এর মধ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, স্পষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া সে দেশ এমন প্রস্তাবে সমর্থন জানাবে না৷

বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান মার্ক কার্নে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ব্রিটিশ অর্থনীতি এখনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের জন্য প্রস্তুত নয়৷ এমনটা ঘটলে অর্থনীতির বিশাল ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)