1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুক্রাণু সংকটে পড়তে পারে ব্রিটেন

১৪ অক্টোবর ২০১৮

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি ছাড়া বের হয়ে এলে নানা ধরনের মূল্য দিতে হবে ব্রিটেনকে৷ ইইউ দেশগুলো থেকে বিদ্যমান আইন মেনে শুক্রাণু আমাদানি করে থাকে দেশটি৷ তাই চুক্তি না হলে এক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে৷

https://p.dw.com/p/36PTs
ছবি: picture alliance/Phanie/Burger

ব্রিটেনে অনেক দম্পতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান জন্ম দিতে অপরাগ৷ তাই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয় তাঁদের৷ এজন্য অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় শুক্রাণুর৷

চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ডেনমার্কের একটি বাণিজ্যিক স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে ৩ হাজার শুক্রাণু আমদানি করেছিল ব্রিটেন৷ এছাড়া একই বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪ হাজার স্যাম্পল আমদানি করেছিল৷ বিশ্বের বৃহত্তম স্পার্ম ব্যাংকটি ডেনমার্কে, নাম ক্রাইওস৷

২০০৫ সালে এক আইনের কারণে বর্তমানে ব্রিটেনে স্পার্ম দিতে কোনো ডোনার আগ্রহী নয়৷ কেবল শুক্রাণু নয়, ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে ডিম্বাণু এবং ভ্রুণও আমদানি করে দেশটি৷ গত বছর অন্তত ৫০০ ডিম্বাণু এবং ভ্রুণ আমাদানি করেছে তারা৷ ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, ব্রেক্সিট আলোচনা সফল না হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে  ‘ইইউ অর্গান ডাইরেক্টিভস অ্যান্ড ইউ টিস্যুস অ্যান্ড সেলস ডাইরেক্টিভস' আইন কাজ করবে না৷ ফার্টিলিটি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে ব্রিটেনকে৷

হার্লে স্ট্রিট ফার্টিলিটি ক্লিনিকের পরিচালক গীতা ভেঙ্কট বিবিসি রেডিওকে জানিয়েছেন, অনেক দম্পতি আতঙ্কে ভুগছেন৷ আইনে কোনো ধরনের পরিবর্তন হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করতে হবে এবং সেজন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ অথচ ডেনমার্ক থেকে আমদানি করতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় লাগে৷

আগামী ১৮ অক্টোবরের বৈঠককেই ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ ব্রেক্সিট চুক্তি হয়ে গেলে আগামী বছর ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে৷ চুক্তি হলে তা বাস্তবায়নের আগে ইইউ পার্লামেন্টের পাশাপাশি সব সদস্য দেশের পার্লামেন্ট ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তার অনুসমর্থন হতে হবে৷

ব্রেক্সিট নিয়ে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অংশ হয়ে থাকা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্ত কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে৷

আপনার কোন মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

এপিবি/এসিবি (এপি,এএফপি)