শুক্রাণু সংকটে পড়তে পারে ব্রিটেন
১৪ অক্টোবর ২০১৮ব্রিটেনে অনেক দম্পতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান জন্ম দিতে অপরাগ৷ তাই কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয় তাঁদের৷ এজন্য অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় শুক্রাণুর৷
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ডেনমার্কের একটি বাণিজ্যিক স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে ৩ হাজার শুক্রাণু আমদানি করেছিল ব্রিটেন৷ এছাড়া একই বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪ হাজার স্যাম্পল আমদানি করেছিল৷ বিশ্বের বৃহত্তম স্পার্ম ব্যাংকটি ডেনমার্কে, নাম ক্রাইওস৷
২০০৫ সালে এক আইনের কারণে বর্তমানে ব্রিটেনে স্পার্ম দিতে কোনো ডোনার আগ্রহী নয়৷ কেবল শুক্রাণু নয়, ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে ডিম্বাণু এবং ভ্রুণও আমদানি করে দেশটি৷ গত বছর অন্তত ৫০০ ডিম্বাণু এবং ভ্রুণ আমাদানি করেছে তারা৷ ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, ব্রেক্সিট আলোচনা সফল না হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ‘ইইউ অর্গান ডাইরেক্টিভস অ্যান্ড ইউ টিস্যুস অ্যান্ড সেলস ডাইরেক্টিভস' আইন কাজ করবে না৷ ফার্টিলিটি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে ব্রিটেনকে৷
হার্লে স্ট্রিট ফার্টিলিটি ক্লিনিকের পরিচালক গীতা ভেঙ্কট বিবিসি রেডিওকে জানিয়েছেন, অনেক দম্পতি আতঙ্কে ভুগছেন৷ আইনে কোনো ধরনের পরিবর্তন হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করতে হবে এবং সেজন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ অথচ ডেনমার্ক থেকে আমদানি করতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় লাগে৷
আগামী ১৮ অক্টোবরের বৈঠককেই ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ ব্রেক্সিট চুক্তি হয়ে গেলে আগামী বছর ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে৷ চুক্তি হলে তা বাস্তবায়নের আগে ইইউ পার্লামেন্টের পাশাপাশি সব সদস্য দেশের পার্লামেন্ট ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তার অনুসমর্থন হতে হবে৷
ব্রেক্সিট নিয়ে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অংশ হয়ে থাকা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সীমান্ত কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে৷
আপনার কোন মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷
এপিবি/এসিবি (এপি,এএফপি)